বিশ্বকাপের মাঝেই বড় ধাক্কা খেল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল।
ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার (এসএলসি) প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ স্থগিতাদেশের ফলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের সবরকমের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বোর্ড মনে করে, ক্রিকেট সদস্য হিসেবে বাধ্যবাধকতার গুরুতর রীতি লঙ্ঘন করেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রমে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
আইসিসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আইসিসি বোর্ড আজ সভায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।’
দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে অনেকদিন ধরে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে বোর্ডের কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হয়েছে অনেকবার। এবার এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিল আইসিসি। ১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল দেশটি।
এর আগে বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডকে পদত্যাগ করতে বলেছিল দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। একদিন পর পুরো বোর্ডকেই বরখাস্ত করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তারাই অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে প্রধান করে নতুন বোর্ড গঠন করে।
যদিও দেশতির আদালত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কার্যক্রম দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরখাস্ত করা ক্রিকেট বোর্ড পুনর্বহাল করা হয়। এবার সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে স্থগিতাদেশের মুখোমুখি হতে হলো তাদের।
এম.কে
১০ নভেম্বর ২০২৩