
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বিশ্ববাসীর হাতে পৌঁছানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ)। সংস্থাটির হিসেব অনুযায়ী, বোয়িং-৭৪৭ বা এর সমমানের প্রায় ৮ হাজার প্লেন দরকার হবে এ কাজে।
কোভিড -১৯ এর এখনো কোনো ভ্যাকসিন না থাকলেও, আইএটিএ এই ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী সরবরাহের বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে।
ওষুধ পরিবহনের জন্য সাধারণত ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার দরকার। আবার কিছু ভ্যাকসিনের জন্য দরকার হিমশীতল পরিবেশ। এই সুবিধাগুলো সব প্লেনে থাকে না, তাই সব প্লেন ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য উপযুক্ত না।
আইএটিএর মতে, নিরাপদে কোভিড -১৯ এর ভ্যাকসিন পুরো বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করা এয়ার কার্গো শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিত পথে আগানো উচিত।
নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় কার্গো পরিচালনা ও পরিবহন করার পাশাপাশি সুরক্ষার ব্যাপারেও কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে। ভ্যাকসিনগুলো অত্যন্ত মূল্যবান পণ্য, তাই পথে যাতে চুরি হয়ে না যায় তাও নিশ্চিত করা দরকার।
এছারাও ভ্যাকসিন পৌঁছানোর পরে তা সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রার হিমঘরে রাখা হচ্ছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করা চাই।
ইতোমধ্যে প্রায় ১৪০টি ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষা চলছে এবং প্রায় দুই ডজন ভ্যাকসিন এখন ক্লিনিকাল ট্রায়া্লে মানুষের উপর পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
সূত্র: বিবিসি
রূপান্ত: সানজানা ফারিহা
এসএফ/এনএইচটি