পরপর একাধিক ঘটনায় ভয়াবহ সমালোচনার মুখে পড়েছে বৃটিশ রাজপরিবারের। মাস দুয়েক আগেই রাজকুমার হ্যারির আত্মজীবনীতে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল রাজপরিবারটির বিরুদ্ধে। ব্রিটেনের সদ্যপ্রকাশিত একটি বইয়ে ফের রাজপরিবারকে টার্গেট করেছেন এক লেখক। টম কুইন নামে ওই লেখকের দাবি, বিয়ের আগে কেট মিডলটনের সন্তানধারণ ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। রাজপরিবারের প্রথা মেনেই এই পরীক্ষা হয়েছিল বলেই দাবি করেছেন টম।
২০১১ সালে রাজকুমার উইলিয়ামের সাথে বিয়ে হয় কেট মিডলটনের। স্ত্রী হিসেবে রাজকুমারীর পরিবর্তে সাধারণ এক তরুণীকে বেছে নেয়ার কারণে বেশ বিতর্ক শুরু হয় ব্রিটেনের রক্ষণশীল অংশে। দেশের ভবিষ্যৎ রানি হিসেবে সাধারণ মেয়েকে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না অনেকেই। ‘গিল্ডেড ইউথ : অ্যান ইন্টিমেট হিস্টরি অফ গ্রোয়িং আপ ইন দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি’ নামে সদ্য প্রকাশিত বইয়ে রাজপরিবারের গোপন তথ্য তুলে ধরেছেন লেখক টম।
বইতে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ রানিকে সন্তানের জন্ম দিতেই হবে। তাই বিয়ের আগেই হবু প্রিন্সেসের সন্তানধারণ ক্ষমতা খতিয়ে দেখা হয়। কেটের যদি সন্তানধারণের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে এই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল ছিল।
টমের মতে, বিয়ের আগে এহেন পরীক্ষা নিয়ে কেটের অবশ্য কোনো আপত্তি ছিল না। ১১ বছরের বিবাহিত জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
শুধু কেট নয়, একই পরীক্ষা দিতে হয়েছিল প্রিন্সেস ডায়ানাকেও। সদ্য প্রকাশিত বইয়ের লেখক জানিয়েছেন, ‘আমার সাথে একবার প্রিন্সেসের কথা হয়েছিল। ওই সময়েই জানতে পেরেছিলাম, সন্তানধারণ করতে পারবেন কিনা, ওই পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল ডায়ানাকেও। যদিও এই পরীক্ষার সময়ে তিনি জানতেন না, কী ধরণের শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেক পরে বিষয়টি বুঝতে পারেন।’