যুক্তরাজ্যের একটি সুপারমার্কেট বৃটিশ গরুর মাংস বলে দক্ষিণ আমেরিকার গরুর মাংস বিক্রি করে যাচ্ছিল। বৃটিশ গণমাধ্যম হতে জানা যায়, সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রদানের পর সুপারমার্কেটের নাম জানা যাবে।
কিমা, বার্গার এবং স্টেইকের মতো পণ্যগুলি ক্রেতাদের কাছে “সেরা ব্রিটিশ গরুর মাংস” হিসাবে বিক্রি করা হয়েছিল কিন্তু আসলে সব মাংস এসেছিল ৫২০০ মাইল দূরে হতে। বৃটিশ গরুর পরিচয় দেয়া মাংসগুলো আসলে আমদানি করা হয়েছিল বলে জানায় জাতীয় খাদ্য ক্রাইম ইউনিট, যা খাদ্য স্ট্যান্ডার্ড কর্তৃপক্ষের অংশ হিসেবে একটি তদন্ত করেছে। একজন ক্রেতা বলেন, এটা আসলে এক ধরনের জালিয়াতি। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়লে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।
একজন উচ্চ পর্যায়ের সুপারমার্কেটের কর্মকর্তা বলেন, একবিংশ শতাব্দীর বৃহত্তম খাদ্য জালিয়াতি ২০১৩ সালে সংগঠিত হয়। ঘোড়ার মাংস বিক্রির কেলেঙ্কারির পরে সুপারমার্কেটগুলি উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।
টেসকো, সেইন্সবারি, আসদা, অ্যালডি, মরিসনস, লিডল, কো-অপ, ওয়েটরোজ এবং আইসল্যান্ডের মুখপাত্ররা নিশ্চিত করেছেন যে তাদের সুপারমার্কেটে এমন কোন ঘটনা ঘটে নাই যা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি এই মূহুর্তে সুপারমার্কেটের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা জানিয়েছে।
ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির এনএফসিইউর উপ-প্রধান অ্যান্ড্রু কুইন বলেছেন, “এটি কোনও খাদ্য সুরক্ষার সমস্যা নয়, খাদ্য জালিয়াতির বিষয়।”