মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে তিন দশক ধরে একটি আলোচিত নাম আনোয়ার ইব্রাহিম। প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরা দিয়েও এত দিন ধরা দেয়নি। বরং এ সময় জেল-জুলুম আর নির্যাতনে কেটেছে। অবশেষে অধরা সেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ধরা দিল আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো বেতন না নেওয়া বিষয়ে নিজের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। মন্ত্রীদের কম বেতন দেওয়ার পাশাপাশি ছোট আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মন্ত্রীদের আগের চেয়ে কম বেতন দেওয়া ও ছোট মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে মন্ত্রিসভার আকার হবে ছোট। নতুন মন্ত্রীদের কম বেতন নেওয়ার বিষয়ে আমার সঙ্গে একমত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। বিষয়টি এখনো আলোচনা ও প্রস্তুতির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’
এর আগে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেতন না নেওয়ার কথা জানান আনোয়ার। তিনি বলেন, তাঁর মূল অগ্রাধিকার হচ্ছে, মানুষের জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় কমানো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যেমন এ মুহূর্তে রিংগিত (মালয়েশীয় মুদ্রা) ও পুঁজিবাজার শক্তিশালী হচ্ছে। এটি সরকারের প্রতি আস্থার প্রকাশ। কিন্তু এখন জীবনযাত্রার ব্যয় ও জনগণের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়া দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করছি।’
জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারি সংস্থাগুলোকে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ ও আগামী সোমবারের মধ্যে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রধান কাজ, জনগণের ওপর চাপ কমানো, তা প্রশাসন জানে।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেও মালয়েশিয়ায় কাটেনি সরকার গঠন ঘিরে অনিশ্চয়তা। ইব্রাহিম সরকারকে ১৯ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে দিতে হবে জনপ্রিয়তার প্রমাণ।
২৬ নভেম্বর ২০২২
নিউজ ডেস্ক