ব্রিটিশ মুসলিমদের বৈষম্যমূলকভাবে নাগরিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এমন একটি বিষয় প্রকাশ পেয়েছে নতুন একটি প্রতিবেদনে। ইনস্টিটিউট অব রেস রিলেশনস (IRR)-এর জন্য প্রাক্তন গার্ডেন কোর্টের ব্যারিস্টার ফ্রান্সিস ওয়েবার দ্বারা রচিত প্রতিবেদনে এর ব্রিটিশদের নাগরিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, নাগরিকত্ব হিসেবে আমরা মূলত যা বুঝি সেই বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে বিগত কয়েক বছরের সরকারি পদক্ষেপগুলো। নাগরিকত্বকে আমরা নির্ভরযোগ্য এবং একটি স্থায়ী বিষয়বস্তু হিসেবে চিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে নাগরিকত্ব কোনো সাধারণ অধিকার নয়, বরং কোনো বিশেষ সুবিধা। কিছু ধারাবাহিক আইনি পরিবর্তন এই অধিকার অর্জন কঠিন করে তুলেছে। দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর জন্য এই অধিকার অর্জন সহজ। কিন্তু এই পরিবর্তনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ব্রিটিশ মুসলিমদের।
প্রতিবেদনটি গত দুই দশকের ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ইতিহাসের উপর আলোকপাত করে। এতে ন্যাশনালিটি অ্যান্ড বর্ডারস বিলের ক্লজ ৯ এবং পরবর্তী ন্যাশনালিটি অ্যান্ড বর্ডারস অ্যাক্ট ২০২২-এর কারণে সম্প্রতি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়গুলোকে দেখানো হয়েছে, যা সেক্রেটারি অব স্টেটকে কোনও ঘোষণা ছাড়াই তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার অনুমতি দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিতদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশীয়, মধ্যপ্রাচ্য বা উত্তর আফ্রিকার মুসলিম পুরুষ। ওয়েবার বলেছেন: “ব্রিটিশ নাগরিকদের নির্বাসনের ক্ষেত্র বাড়ানোটি বর্ণবাদী। আইনের পরিবর্তনগুলি সবই বিশেষভাবে মুসলমানদের বি-জাতীয়করণের জন্য করা হয়েছে।”
প্রতিবেদনে শামীমা বেগমের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। ১৫ বছর বয়সে সিরিয়া পালানোর জন্য ঘৃণার বস্তুতে পরিণত হতে হয়েছে তাকে।
তার আইসিসে যোগ দেওয়া অবশ্যই অপরাধ। কিন্তু এ কারণে জন্মভূমি থেকে তাকে চিরতরে নির্বাসন দেওয়া নীতিগত ভুল, ওয়েবার বর্ণনা করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
এনএইচ