ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাকের বিলিয়নিয়ার শ্বশুর এন আর নারায়ণের বিরুদ্ধে উঠেছে কর ফাঁকির অভিযোগ। গত চার বছরে সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ড শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে তিনি, এমন খবর জানায় দ্য গার্ডিয়ান।
তার মালিকানাধীন ভারতের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন সেবা প্রদানকারী রিটেইলার ক্লাউডটেল ইন্ডিয়া লিমিটেড। এটি অ্যামাজন এবং নারায়ণ মূর্তির প্রতিষ্ঠান ক্যাটাম্যারান ভেঞ্চার্স এর একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এই ক্লাউডোটেলের বিরুদ্ধেই এই কর ফাঁকির অভিযোগ বলে জানা যায়।
গত সপ্তাহেই ভারতের কর্ণাটক হাই কোর্ট রায়ে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট এর মতো সুপ্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কমপিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়াকে (সিসিআই) অসাধু বাণিজ্যনীতি নিয়ে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রায়ের সূত্র ধরে এবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সেদেশের বাণিজ্যমহলে। দেখা গিয়েছে, দেশের বাণিজ্যনীতি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কেবল অ্যামাজনের মতো বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান নয়, যুক্ত রয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানও। সেই সূত্রে বিপুল পরিমাণ শুল্ক বকেয়ার ঘটনায় সম্প্রতি নাম জড়াল দেশের অন্যতম নামী ব্যবসায়ী নারায়ণ মূর্তির।
ঋষি সুনাককে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী বলে অভিহিত করা হয়। মূলত তার স্ত্রী অক্ষতা মুর্তির পারিবারিক সম্পদের ফলস্বরূপ এই খেতাপ জুটেছে তার।
সর্বশেষ গার্ডিয়ান রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতের আইন অনুযায়ী কোনও বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় কোনও রিটেইলারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তাদের পণ্য নিজেদের প্ল্যাটফর্ম মারফত অনলাইনে দেশীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি পায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে অ্যামাজনের সঙ্গে যে রিটেইলিং হাউজ ক্লাউডটেলের প্রায় একচ্ছত্র সংযোগ আছে এবং এর পরিচালনার মূলে রয়েছেন নারায়ণ মূর্তি এবং তার পরিবারের অন্যরা। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশই মূর্তি পরিবারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, বাকিটা রয়েছে অ্যামাজনের অধীনে।
দ্য গার্ডিয়ান এর ওই প্রতিবেদন বলছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স ইনটেলিজেন্স ক্লাউডটেল কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা পায়! যদিও ঠিক কিভাবে এই শুল্ক বকেয়া থাকার ব্যাপারটা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনই কিছু জানা যায়নি।
যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, সেই জন্য এখনই এই প্রসঙ্গে কোনও রকম মন্তব্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স ইনটেলিজেন্স।
১৫ জুন ২০২১
আরআর