অনলাইনে আত্মহত্যার প্ররোচনা করে এমন একটি গ্রুপের খোঁজ পেয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের ওই গ্রুপটি আত্মহত্যা এবং নিজের বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি সাধনে ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীদের প্ররোচিত করে।
জানা যায়, তিনজন কিশোরী নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে তাদেরকে লন্ডনে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়ার ঘটনার তদন্তে নামলে এই ইনস্টাগ্রাম গ্রুপটি আবিষ্কার করে পুলিশ।
২৫ মার্চ প্রকাশিত পুলিশের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, এই কিশোরীরা একে অপরের সাথে প্রথমে দেখা করেছে এবং আত্মহত্যার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়া কিশোরীরা লন্ডনে দেখা করতে আসে। তারপর তাদেরকে একটি রাস্তায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা এই তিনজনের ব্যবহৃত অনলাইন গ্রুপ এবং গ্রুপের অন্যান্য সদস্যের নাম সনাক্ত করেন। তদন্তে উঠে আসে, এর আগে ওই গ্রুপের ১২ জন কিশোরীর সাতজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী মলি রাসেল ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করার পর থেকে তরুণ এবং দুর্বল ব্যক্তিদের ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব সম্পর্কে ভীতি দেখা দিয়েছে।
মলির বাবা ইয়ান বিবিসিকে বলেন, আমার কোনো সন্দেহ নেই যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম আমার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।
ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা গ্রুপের প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করেছিলাম, তবে এমন কোনো কিছু খুঁজে পাইনি যা বিধি ভঙ্গ করে। আমরা তেমন কোনো আত্মহত্যা বা আত্ম-ক্ষতির সম্পর্কিত বিষয়বস্তু পাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা গ্রাফিক ছবি বা এমন বিষয়বস্তুকে অনুমতি দিই না যা আত্মহত্যা বা আত্ম-ক্ষতিকে উত্সাহ দেয়। এমন কিছুর সন্ধান পেলে আমরা তা অবশ্যই সরিয়ে ফেলব। আমরা পুলিশকে সাহায্য করবো এবং তথ্যের জন্য যে কোনও বৈধ আইনি অনুরোধের জবাব দেব।
সূত্র: বিবিসি
৩ এপ্রিল ২০২১
এসএফ