ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণে ইউরোপের কিছু দেশ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিধিনিষেধের আওতায় এনেছে অথবা আনতে যাচ্ছে ব্রিটিশ পর্যটকদের।
ডেইলি মেইল সূত্রে জানা যায়, অস্ট্রিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পর্যটকদের তিন ডোজ টিকা না নেওয়া থাকলে কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। তাছা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
স্পেন আবার ফেস্ক মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এদিকে বেলজিয়াম দুইয়ের বেশি শপিং গ্রুপ নিষিদ্ধ করেছে। স্পেনের পাশাপাশি ইতালিও নতুন কিছু বিধিনিষেধের পাশাপাশি মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে।
জানা যায়, নিউ ইয়ারের উৎসবে ডিস্কো এবং ক্লাবগুলো বন্ধ রাখার কথা ভাবছে ইতালি। তাছাড়া ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে প্রবেশাধিকার সীমিত করতে যাচ্ছে দেশটি।
এদিকে করোনার কেস বৃদ্ধি দেখছে ফ্রান্স। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যের পর্যটকদের নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। তবে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো বিধিনিষেধ আরোপ না করা এবং ইউকের বুস্টার জ্যাবের উপর ভরসা রাখার ইঙ্গিত দেও্যা হয়েছে।
তবে অস্ট্রিয়ার ভ্রমণনীতি যুক্তরাজ্যের পর্যটকদের জন্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে বলে ধারণা অনেকের। কারণ বড়দিন থেকে চালু হওয়া এই নিয়মটি ১৬ থেকে ১৭ বছরের সকল ব্রিটিশকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। বলা হচ্ছে, অসাবধানতার ফলে এই নিয়মটি এসেছে। কারণ, ১২ বছরের কম বয়সীদের এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। ১২ থেকে ১৫ বছরের ব্রিটিশরা বুস্টার জ্যাব না নিয়েও প্রবেশ করতে পারবে।
১৬ বছর বয়সের বেশি সবার বুস্টার জ্যাব লাগবে। নয়তো ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু ইউকের বর্তমান নিয়মে কেবল ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা বুস্টার জ্যাব নিতে পারছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটের ভ্রমণ নীতিতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য ‘হলিডে নিনজা পাস’ ব্যবহার করতে পারবে এমন কথা বলা হলে বিভ্রান্তি আরও বেড়ে যায়।
জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়াম ইতোমধ্যে আংশিক বা পুরোপুরি লকডাউন জারি করার পাশাপাশি করোনার অন্যান্য সতর্কতা ফিরিয়ে এনেছে। যুক্তরাজ্যকে ওমিক্রনের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ঘোষণা করে জার্মানির ফেডারেল সংস্থা ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে।
জার্মানি জানিয়েছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে নাইট ক্লাব, দশ জনের বেশি ব্যক্তিগত সমাবেশও নিষিদ্ধ হবে। ওই তারিখের পর থেকে ফুটবল ম্যাচগুলোয় রুদ্ধদ্বার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, পর্তুগাল ২৬ ডিসেম্বর থেকে বার ও নাইট ক্লাব বন্ধ করে দেবে। এছাড়া আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাসা থেকে কাজ করা বাধ্যতামূলক করবে। বাইরে দশ জনের বেশি সমবেত হতে পারবে না।
সুইডেনে বার, ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে কেবল আসন সংখ্যার সমান অতিথিকে আপ্যায়ন করা যাবে। এছাড়া সম্ভব হলে মানুষকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
ইউরোপে ইতোমধ্যে প্রায় ৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২১
এনএইচ