ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটনের পেটে সার্জারি বা অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল যেই হাসপাতালে, সেখান থেকে তার মেডিকেল নথি চুরির চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত জানুয়ারিতে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন প্রিন্সেস অব ওয়েলস ৪২ বছর বয়সী কেট। সেখানকার এক কর্মীর বিরুদ্ধে রেকর্ড হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ডিসেম্বরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান কেট মিডলটন। তার হঠাৎ অনুপস্থিতি নিয়ে নানা গুজবেরও সৃষ্টি হয়। কেনসিংটন প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত জানুয়ারিতে পেটে অস্ত্রোপচারের পর বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের প্রতিবেদন অনুসারে, গত জানুয়ারিতে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন লন্ডন ক্লিনিকে এক কর্মী কেটের মেডিকেল রেকর্ড হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যুক্তরাজ্যের গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, তারা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছে।
তথ্য কমিশনার কার্যালয়ের এক মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি এবং প্রদত্ত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করছি।’
কেট মিডলটনের স্বাস্থ্য ও অস্ত্রোপচার নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছিল, তার স্বাস্থ্যগত জটিলতা ক্যানসার সম্পর্কিত নয় এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসা তথ্য গোপন রাখতে চান তিনি।
সম্প্রতি কয়েক দিন ধরে একটি কারসাজি করা ছবিকে ঘিরে বিতর্কের মুখে রয়েছেন কেট মিডলটন। মা দিবস উপলক্ষে সন্তানসহ তার একটি ছবি প্রকাশ করে কয়েকটি বার্তা সংস্থা। কিন্তু ছবি সম্পাদনার অভিযোগে রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি, গেটি ইমেজেস এই ছবি সরিয়ে ফেলে। অস্ত্রোপচারের পর এটিই ছিল প্রিন্সেসের প্রথম আনুষ্ঠানিক ছবি।
পরবর্তীতে ডিজিটালি এডিটেড ছবি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চান প্রিন্সেস।
সূত্রঃ দ্য মিরর
এম.কে
২০ মার্চ ২০২৪