যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকেরা যাতে তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশটিতে আনতে না পারেন, সেজন্য আয়ের সীমা বাড়ানোসহ বিভিন্ন শর্ত আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির রক্ষণশীল সরকার৷ আর এই কঠিন শর্তের কারণে অনেক পরিবার ভাঙনের মুখে রয়েছে বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়৷
নেট মাইগ্রেশন কমাতে যুক্তরাজ্য সরকার গত ৪ ডিসেম্বর নতুন একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে৷ দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি কাজের ভিসা নিয়ে বসবাসরত বিদেশিরা যাতে তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনতে না পারেন, সেজন্য ন্যূনতম আয়ের সীমাকে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ডে উন্নীত করা হয়েছে৷
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন,
৩৮,৭০০ পাউন্ড উপার্জন করা লোকদের বিদেশি পরিবারকে যুক্তরাজ্যে আনার আগে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সামনের বছর হতেই এই আইন বলবৎ হতে পারে।
বর্তমান সময়ে ১৮,৬০০ পাউন্ডের আয় দেখিয়ে বিদেশি পরিবারের স্বামী-স্ত্রীকে আনার নিয়ম নির্ধারিত ছিল।
তবে ঋষি সুনাক জানান পরবর্তী পরিবর্তন দুটি পর্যায়ে আসবে। আগামী বছর হতে প্রান্তিকতাটি ২৯০০০ পাউন্ডে নির্ধারিত হবে, পরের বছরে তা আরও বৃদ্ধি করে ৩৮,৭০০ পাউন্ডে গিয়ে পৌঁছাবে।
মিঃ সুনাক জানন, ” লোকেরা যদি তাদের পরিবারকে নির্ভরশীল হিসাবে ইউকেতে নিয়ে আসতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের সাপোর্ট দেয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে।”
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। কনজারভেটিভ সরকার পরবর্তী ইলেকশনের আগে নেট মাইগ্রেশনের নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এম.কে
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩