যুক্তরাজ্যে যেসব নাগরিক করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বরিস জনসন এই ‘কোভিড স্ট্যাটাস সার্টিফিকেশন’ নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী লকডাউন বিধিনিষেধকে সহজ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
দেশের মানুষ যাতে ফুটবল মাঠ এবং নাইটক্লাবের মতো জায়গাগুলোতে সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজন ছাড়াই পুনরায় একত্রিত হতে পারে তার জন্যেই এই ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্টের’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ৪০ জনেরও বেশি টরি এমপি প্রকাশ্যে ‘ভ্যাকসিনের পাসপোর্টের’ এই ধারণার বিরোধিতা করেন।
সরকার ঘোষণা করেছে, যুক্তরাজ্যের পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি লোক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। তার ভিত্তিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এই প্রশংসাপত্র বা ভ্যাকসিনের পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা প্রথমেই দেখবেন, কোনো ব্যক্তি ভ্যাকসিন পেয়েছেন কিনা, সম্প্রতি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল পেয়েছেন, অথবা গত ছয় মাসে তাদের করোনার বিরুদ্ধে ‘স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ পরীক্ষায় পজেটিভ ফল এসেছে।
মন্ত্রীরা বিশ্বাস করেন, যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি সেসব স্থানে এই প্রকল্পটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে। সংগীত অনুষ্ঠান, ক্রীড়া ম্যাচ, নাইটক্লাগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করবে এটি।
প্রয়োজনীয় দোকান এবং গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই প্রশংসাপত্রের বা ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্টের’ প্রয়োজন হবে না। পাব, রেস্তোঁরা এবং খুচরা দোকানগুলোতেও প্রয়োজন হবে না এই ভ্যাকসিনের পাসপোর্টের ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে আমাদের ভ্যাকসিন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছি। কোভিড -১৯ থেকে পুনরুদ্ধা্র করে দেশকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে দেশের প্রত্যেকেই ত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের দেশকে পুনরায় সচল করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। দেশের মানুষ যতটা সম্ভব নিরাপদে ইভেন্ট, ভ্রমণ এবং অন্যান্য পছন্দের জায়গাতে যাতে ফিরে আসতে পারে আমরা তার জন্যই এই প্রকল্পটি শুরু করছি।
তবে বিদেশ ভ্রমণ কবে থেকে উন্মুক্ত হতে পারে তা জানতে চাইলে মন্ত্রীরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা কমপক্ষে ১৭ মে পর্যন্ত থাকবে।
সূত্র: স্ট্যান্ডার্ড
৪ এপ্রিল ২০২১
এসএফ