করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাজ্যে। ভাইরাসের এই নতুন ধরনটি আরো দ্রুত ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস উইটি। সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘টিয়ার ৪’ বা লকডাউন সমতুল্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে। পুরো ইউরোপ ব্রিটেনের সঙ্গে সবগুলো পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার (২০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত রূপান্তরিত ভাইরাসটি যুক্তরাজ্যের বাইরে ডেনমার্কে ৯ জন এবং ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ায় ১ জন করে মোট ১২ জনের শরীরে পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রূপান্তরিত করোনাভাইরাসটি আগের ভাইরাসের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দুরূহ।
শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ভাইরাসের এই নতুন ধরন খুব বেশি মারাত্মক এমন কোনো প্রমাণ নেই। টিকার ক্ষেত্রেও এটি আলাদা কোনো আচরণ করবে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিয়ে বলেছেন, করোনার এই নতুন ধরনটি বিরুদ্ধেও ফাইজার–বায়োএনটেকের তৈরি টিকা কার্যকর।
বিবিসির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিনিধি জেমস গেলাগহের এক বিশ্লেষণে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়। নভেম্বরের দিকে লন্ডনে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ ছিল নতুন বৈশিষ্ট্যের এই ভাইরাসের শিকার। আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি দুই-তৃতীয়াংশে পৌছায়।
যুক্তরাজ্যের কোভিড-১৯ জেনোমিক্স কনসোর্টিয়ামের অধ্যাপক নিক লোমান বলেন, ল্যাবে এ নিয়ে পরীক্ষার দরকার আছে, কিন্তু এর জন্য কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে অপেক্ষা করার সময় নেই আমাদের কাছে।
সূত্র: বিবিসি
২১ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ