যুক্তরাজ্যে বাড়ির বাজার নিয়ে নতুন তথ্য আসছে, যা বাড়ি কিনতে আগ্রহীদের জন্য একদিকে সুখবর হলেও অন্যদিকে কিছু দুঃসংবাদও নিয়ে এসেছে। লন্ডনের প্রপার্টি বাজার বরাবরই ব্যয়বহুল হলেও ভবিষ্যৎ পাঁচ বছরে এর প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে।
লন্ডনের কেনজিংটন ও চেলসি বর্তমানে সবচেয়ে ব্যয়বহুল আবাসিক এলাকা। এখানকার একটি বাড়ির গড় দাম প্রায় ১১ লাখ পাউন্ড, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। তবে গবেষণা বলছে, ২০২৪ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির হার হবে সবচেয়ে কম লন্ডনে। ফলে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের ভাড়াটেদের জন্য কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে।
শুধু ভাড়াই নয়, সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও তুলনামূলক ধীরগতি লক্ষ্য করা যাবে। আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্যের আবাসন বাজারে প্রপার্টি দামের প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ১৭.১ শতাংশ। পূর্বের তুলনায় এই হার অনেক কম হলেও এটি বাজারে এক ধরনের স্থিতিশীলতা আনবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
তবে এর সঙ্গে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। প্রথমত, লন্ডনের মতো শহরে বর্তমান দামের উচ্চতা এতটাই বেশি যে, সীমিত আয়ের মানুষের জন্য বাড়ি কেনা এখনও বড় স্বপ্নের মতো রয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, যদিও দাম বৃদ্ধির হার ধীর হচ্ছে, তবুও এর মানে এই নয় যে প্রপার্টি সস্তা হয়ে যাচ্ছে। বরং দাম ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে, শুধু আগের তুলনায় ধীরগতিতে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারের এই পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের জন্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া বয়ে আনতে পারে। যারা দ্রুত লাভের আশায় সম্পত্তি কিনে থাকেন, তাদের জন্য এটি দুঃসংবাদ। তবে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য এই ধীর প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারে।
সব মিলিয়ে, ব্রিটেনের প্রপার্টি বাজারে এখনই বড় ধরণের ধস নামছে না, আবার পুরনো গতিতে দাম বাড়ছেও না। ফলে ক্রেতা, ভাড়াটে ও বিনিয়োগকারী—সব পক্ষকেই হিসাব করে এগোতে হবে। বিশেষ করে লন্ডনের মতো ব্যয়বহুল শহরে স্বপ্নের বাড়ি কেনার আগে আরও কিছু বছর সঞ্চয় ও কৌশলগত পরিকল্পনা হয়তো প্রয়োজন হয়ে পড়বে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
২৪ আগস্ট ২০২৫