যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দিন শেষে মধ্যরাত থেকে কার্যকর হতে চলেছে পূর্ণমাত্রায় লকডাউন। এদিকে রাজধানী লন্ডনের সর্বত্র দেখা গেছে ভয়ংকর মাত্রার ট্রাফিক জ্যাম।
যানজট সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীতে প্রায় ১২০০ মাইল গাড়ির সারি সৃষ্টি হয় এবং মোট ২ হাজার ৬২৪টি ট্রাফিক জ্যাম রেকর্ড করা হয়।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে হতাশ গাড়ি চালকেরা রাস্তায় দেড় ঘণ্টারও বেশি বিলম্বের কথা জানান। কেবল নর্থ সার্কুলারেই নাকি যানজট ৮ মাইলেরও বেশি ছাড়িয়ে যায়।
আরএসি জানিয়েছে, লকডাউনের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ মানুষের মধ্যে গতবারের তুলনায় এবার ১৫ শতাংশ বেশি দেখা গিয়েছে। লোকেরা জরুরি কেনাকাটা সাড়ছেন এবং নিরাপদে ছুটি কাটাতে রাজধানী ছেড়ে পালাচ্ছেন।
জানা যায়, বুধবার মধ্যরাতের দিকে যানজটের মাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সময় গড়ালে সেটি আরও কমে আসবে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন ঘোষণা দিয়েছেন এবারের লকডাউনটি ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে, কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে এটি আরও বাড়তে পারে। অনেকে আবার বড়দিন অবধি লকডাউন থাকবে বলে অনুমান করছেন। তাই লোকেরা আগে থেকেই পরিবারের সঙ্গে একত্রে নিরাপদে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লন্ডনের ট্রাফিকের দুরবস্থা নিয়ে অনেকে টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন। একজন দাবি জানাচ্ছেন, তিনি তিন দশকের মধ্যে এতো ট্রাফিক কখনো দেখেননি। আরেকজন বলছেন, পুরো রাজধানী জুরে বিশৃঙ্খলা চলছিল।
জানা যায়, রাজধানীর মতো একই চিত্র দেখা গেছে বার্মিংহাম, লিভারপুল, লিডসের মতো বড় শহরগুলোতেও। ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যবর্তী কিছু এলাকার এক কোটি মানুষ আগে থেকেই টিয়ার-৩ লকডাউনের আওতায় ছিলেন। সেখানে সামাজিক যোগাযোগে নিষেধ রয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার সর্বরাহকারী রেস্তোরাঁ এবং পাবগুলো বাদে বাকিদের বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। আর ২ কোটি ব্রিটিশ রয়েছেন টিয়ার-২ লকডাউনে, যেখানে বাড়ির ভেতরে বন্ধু বা পরিবারের দেখা সাক্ষাতের উপর নিষেধ রয়েছে।
৫ নভেম্বর ২০২০
এনএইচ