দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কৌশলগত অর্থনৈতিক মানচিত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। ভারতকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ এবার সরাসরি আসিয়ান (ASEAN) অর্থনৈতিক জোটের বিশেষ অংশীদার হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। এই উদ্যোগ শুধু কূটনৈতিক সাফল্য নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে করে তুলবে আরও মজবুত ও বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক।
আসিয়ান জোট বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক ব্লক, যার বার্ষিক সম্মিলিত জিডিপি প্রায় ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এই জোটের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি অংশীদারিত্ব মানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য ও বিনিয়োগের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংযুক্তির ফলে—
বাংলাদেশের গার্মেন্টস, ওষুধ, হিমায়িত খাদ্যসহ প্রধান রপ্তানি খাতগুলো বিশাল বাজার পাবে;
আসিয়ান দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ আসবে অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতে;
বাণিজ্য শুল্ক কমবে, ব্যবসা হবে আরও সহজ।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারত আসিয়ান জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখলেও বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সারির ভূমিকায় রাখতে চেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এবার বাংলাদেশ সরাসরি সংযুক্ত হয়ে সেই ছকে ধাক্কা দিলো। এটি ভারতের কূটনীতিতে এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
বিদেশে বাংলাদেশের কৌশলগত কূটনীতি, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, এই অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান সরকার অর্থনীতিকেই প্রধান কূটনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
এই অর্জনকে বাংলাদেশের কাজে লাগাতে হলে—
অবকাঠামো উন্নয়ন,
আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ,
শিল্প উৎপাদনে গুণগত মান বজায় রাখা,
ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা— এসব খাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এম.কে
০৬ মে ২০২৫