8.8 C
London
March 1, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ভারতীয় ব্যবসায়ীকে নিজ দেশে নির্যাতনের শঙ্কা, যুক্তরাজ্য হতে বহিষ্কারাদেশ মামলায় জয়ী

এক ভারতীয় ব্যবসায়ী শুক্রবার ব্রিটেন থেকে বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে মামলায় জয়লাভ করেছেন। লন্ডনের হাইকোর্ট রায় দিয়েছে তার নিজ দেশ ভারতে তার উপর নির্যাতন বা অন্যান্য দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।

এক ভারতীয় ব্যবসায়ী শুক্রবার ব্রিটেন থেকে বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে মামলায় জয়লাভ করেছেন। লন্ডনের হাইকোর্ট রায় দিয়েছে তার নিজ দেশ ভারতে তার উপর নির্যাতন বা অন্যান্য দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।

৬৩ বছর বয়সী সঞ্জয় ভাণ্ডারী ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের পরামর্শক ছিলেন। তাকে ভারতে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে ভারতীয় সরকার।

সঞ্জয় এর আগে ফরাসি প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সংস্থা থ্যালেসের (TCFP.PA) বিরুদ্ধে ফ্রান্সে মামলা করেছিলেন। সঞ্জয়ের দাবি ছিল তিনি ভারতে একটি যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তার বিনিময়ে কমিশন হিসাবে অর্থ পাওয়ার যোগ্য। তবে থ্যালেস এই দাবি অস্বীকার করে।

ভারতের অনুরোধে গ্রেপ্তারের পর, ব্রিটিশ সরকার জানুয়ারি ২০২৩-এ ভাণ্ডারীকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। তবে তিনি হাইকোর্টে সফলভাবে আপিল করেন। আপিলের রায় হয় ভাণ্ডারীকে ভারতে ফেরত পাঠানো তার মানবাধিকারের লঙ্ঘন হবে, কারণ সেখানে তাকে নির্যাতনের উচ্চ ঝুঁকির মুখে পড়তে হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের আদালতের রায়ে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য ভারতে নির্যাতন ব্যবহার করা হয়। বন্দিরা চাঁদাবাজির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে এবং কারাগার কর্মকর্তাদের দ্বারা বা তাদের সামনে বন্দিদের অনেক সময় হত্যা করা হয়েছে।

সঞ্জয়ের বিষয়ে লন্ডনে ভারতের হাই কমিশন এবং সঞ্জয় ভাণ্ডারীর আইনজীবী মন্তব্যের জন্য তৎক্ষণাৎ সাড়া দেননি।

বিচারক টিমোথি হলরয়েড এবং কারেন স্টেইন লিখিত রায়ে বলেছেন যে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন ব্যবহারের প্রবণতা ভারতীয় ব্যবস্থায় গভীরভাবে প্রোথিত।

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটি স্পষ্ট যে ভারতে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাগুলোর বাইরেও স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন বা অন্যান্য গুরুতর দুর্ব্যবহার গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। যার ফলে আপিলকারী (ভাণ্ডারী) তদন্তকারী সংস্থাগুলোর হাত থেকে রক্ষা পেতে কারা কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না।”

তারা আরও বলেন যে নয়াদিল্লির তিহার কারাগারের অবস্থার বিষয়েও উদ্বেগ রয়েছে, সেখানে ভাণ্ডারীকে রাখা হতে পারে। এবং সঞ্জয়ের আইনজীবীরা বলছেন সহিংসতা ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বিরাজমান তিহার কারাগারে। যুক্তরাজ্য আদালত ২০২৩ সালে তিহার কারাগারে প্রহরীদের সামনে একজন বন্দিকে হত্যার ঘটনাও উল্লেখ করেছেন রায়ে।

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
০১ মার্চ ২০২৫

আরো পড়ুন

‘আগস্টের মধ্যে করোনামুক্ত হবে যুক্তরাজ্য’

দীর্ঘমেয়াদে ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ইইউ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যে

যুক্তরাজ্যের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনঃ রাশিয়া