‘আমার স্ত্রীর যোগ্যতা থাকার পরেও হোম অফিসের বিভ্রান্তিকর পরামর্শ এবং আমলাতন্ত্রের কারণে তার যুক্তরাজ্যের লিভ টু রিমেইন বাতিল হয়ে গেছে’।
দ্য গার্ডিয়ানের বিশেষ আয়োজন ‘ইয়র প্রবলেমস উইথ আনা টিমসে’ ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন নিয়ে এমন সমস্যায় জড়িয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির কেস স্টাডি তুলে ধরা হয়।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী,
তার স্ত্রী যখন ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে আবেদনের যোগ্যতা খতিয়ে দেখছিলেন- তাকে বলা হয়েছিল, একজন ব্রিটিশ সিটিজেনের পার্টনার হিসেবে তিনি এই আবেদনটি করতে পারবেন। এতে উল্লেখ আছে যে, পাঁচ বছরের রুটে ব্রিটিশ নাগরিকের পার্টনার বা স্পাউস হিসেবে ভিসা পেয়ে পাঁচ বছর ধরে ইউকেতে বসবাস করলে এই আবেদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, তিনি ১৩ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং ২০১৩ সালে বিয়ে করেছিলেন।
ওয়েবসাইটের যা বলা হয়নি তা হলো, ফ্যামিলি ভিসার আবেদনকারীদের অবশ্যই পাঁচ বছরের রুট টু আইএলআর (ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন) থাকতে হবে। ভুক্তভোগীর স্ত্রী সেটি ২০১৭ সালে সম্পন্ন হলেও ওয়েব সাইটে এই তথ্য দেননি।
এভাবে ভুল ক্যাটাগরিতে আবেদন করায় হোম অফিস তার আইএলআর গ্রান্ট করেনি।
এই ভুলের জন্য তাকে লিমিটেড লিভ টু রিমেইন দেওয়া হয়। এরমানে তাকে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে আবেদনের জন্য। এছাড়াও এ প্রক্রিয়ায় এক হাজার পাউন্ড এনএইচএস চার্জ গিয়েছে তাদের পকেট থেকে।
সরকারি ওয়েব সাইটের তথ্য বিভ্রান্তিকর এই মর্মে আবেদনটি পুনর্বিবেচনার কথা জানালে হোম অফিস সিদ্ধান্ত বদলায়নি।
কলামিস্ট আনা টিমস জানান, তার স্ত্রী যে রুটে যোগ্যতা অর্জন করতে পারতেন তা ওয়েবসাইটের এলিজিবিলিটি টেস্টের সময় দুইটা অপশনে ভাগ হয়ে গেছে। এদিকে একত্রে দুটি অপশনে টিক দেওয়া যাচ্ছে না। হোম অফিসকে ভুলটি দেখিয়ে দেওয়ার পরও ঠিক হয়নি।
তিনি এতে লিখেছেন-
‘যখন আমি হোম অফিসকে প্রশ্ন করি, তথ্যের অস্পষ্টতায় বিভ্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের কেন আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে এবং হাজার পাউন্ড খরচ করে পুনরায় আবেদন করতে হবে, তখন তারা আপনার স্ত্রীর কেসটি পুনর্বিবেচনায় নিতে সম্মত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে লং রেসিডেন্সের আন্ডারে তার আইএলআর গ্রান্ট করা হয়’।
২ মে ২০২১
এনএইচ