নরফোকের হেইনফোর্ড এলাকায় একটি বাড়িতে বছরে মাত্র শতদিনের মতো বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। সেই সীমিত ব্যবহারের পরও মালিক লিন ললারের নামে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্মার্টেস্টএনার্জি পাঠিয়েছে ২৪ হাজার পাউন্ডের বিল।
৭০ বছর বয়সী ললার জানান, কোম্পানি প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার পাউন্ডেরও বেশি কিস্তিতে এই টাকা পরিশোধে চাপ দিচ্ছে, নইলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে। অথচ প্রকৃত ব্যয় হওয়া উচিত ছিল মাসে গড়ে ২০০ পাউন্ডের মতো।
২০২৪ সালের বিভিন্ন মাসে বিল এসেছে কয়েক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত। বারবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা মেলেনি। একপর্যায়ে এক কলসেন্টার কর্মী ভুল করে স্বীকার করে, মিটার কোম্পানির সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করছিল না।
অবশেষে অক্টোবর মাসে একজন প্রকৌশলী এসে বলেন, মিটারটি ভুল রিডিং দিচ্ছে এবং তা একটি কারখানার মতো খরচ দেখাচ্ছে। মার্চে মিটার পরিবর্তনের পর বিল আশ্চর্যজনকভাবে কমে যায়। ২০২৫ সালের মে মাসে বিল আসে মাত্র ১৮৩ পাউন্ড, যেখানে আগের বছর একই সময়ে বিল ছিল ১,৬৭৫ পাউন্ড।
তবুও কোম্পানি পুরোনো ভুল হিসাব ধরে রাখছে। বাতিল করেছে ললারের নতুন কম দামে চুক্তি, বসিয়েছে প্রিপেইমেন্ট মিটার।
ললার বলেন, “যদি বিদ্যুৎ কেটে দেয়, আমার বুকিং বন্ধ হবে, আয় বন্ধ হবে – সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।”
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রডল্যান্ড ও ফাকেনহ্যামের সংসদ সদস্য জেরোম মে’হিউ। তিনি বলেন, “এটা একেবারেই অস্বাভাবিক ও অমানবিক। আমি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং যতক্ষণ না সুবিচার হচ্ছে, আমি ললারের পাশে থাকব।”
এনার্জি ওম্বাডসম্যান প্রাথমিকভাবে মিটারের ত্রুটির প্রমাণ না পেলেও এখন নতুন করে তদন্ত করছে।
সমালোচকেরা বলেছেন, এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে — যুক্তরাজ্যে প্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতে নজরদারি ও জবাবদিহির অভাব কত ভয়াবহ হতে পারে। ভুল এক মিটারের কারণে একজন প্রবীণ নারীর জীবনের শেষ সম্বলটুকু হুমকির মুখে।
সূত্রঃ মেট্রো
এম.কে
২০ জুন ২০২৫