দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত G20 শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে ভোটারদের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ তার কাজের সঠিক বিচার করবে এবং ১৪ বছরের ব্যর্থতা থেকে দেশকে ঘুরে দাঁড় করাতে আরও সময় প্রয়োজন।
স্টারমার বলেন, লেবার পার্টি গত বছরের নির্বাচনে এমন একটি ইশতেহার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে যেখানে দেশকে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি ছিল। “আমি সবসময় বলেছি—১৪ বছরের ব্যর্থতা মাত্র এক বছরে বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। সময় লাগবে,” তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর রাজনৈতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে স্বীকার করেন যে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলায় সরকার কিছু ‘ভালো পদক্ষেপ’ নিয়েছে, তবে জনগণের বাস্তব পরিবর্তন অনুভব করার মতো আরও উদ্যোগ নিতে হবে। আসন্ন বাজেটে কর বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও তিনি বলেন, জনসেবা বিশেষ করে এনএইচএস উন্নয়নে তার সরকার রেকর্ড বিনিয়োগ করছে।
তিনি আরও জানান, তিনটি বিষয়ে তার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে—জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, জনসেবা বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের মানোন্নয়ন, এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তার ভাষায়, “পরবর্তী নির্বাচনে মানুষের বিচারই হবে চূড়ান্ত—এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই।”
নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্রিটেনে জোরালো জল্পনার মধ্যেও স্টারমার স্পষ্ট করে দেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে তিনি লেবার পার্টির নেতৃত্বেই থাকবেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ২০২৯ সালের আগে নয়, তবে প্রয়োজনে তিনি আগেই নির্বাচন ডাকতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে

