করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কিছু মানুষের শরীরে কেন রক্ত জমাট বাঁধে বা ব্লাড ক্লোট সৃষ্টি হয় তার রহস্য জানতে পেরেছেন বলে দাবি জার্মান বিজ্ঞানীদের।
গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে যে উপাদানটি প্রয়োগ করা হয় তা কিছুটা কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করে। করোনা ভাইরাসের প্রোটিন তৈরির সময় কিছু ভুল নির্দেশনার কারণে অল্প সংখ্যক ব্যক্তির মধ্যে ব্লাড ক্লোট দেখা গিয়েছে।
এই গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী গ্যোথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রলফ মার্শালেক মনে করেন, নিউক্লিয়াসে প্রবেশের পর স্পাইক প্রোটিনের কিছু অংশ বিভক্ত হয়ে যায় এবং নতুন মিউট্যান্ট সংস্করণ তৈরি করে যা কোষের ঝিল্লির সাথে আবদ্ধ হতে পারে না। এভাবেই রক্ত জমাটের বিরল ঘটনাটি ঘটে।
জনসন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় খুবই অল্প সংখ্যক ব্যক্তির দেহে মারাত্মক ধরনের ব্লাড ক্লোট দেখা গিয়েছে। এর কারণে নরওয়ে এবং অস্ট্রিয়া জাতীয় কিছু দেশকে টিকা প্রয়োগ বন্ধ বা সীমিত করতে হয়েছে। অন্যরা বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এর ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করেছে।
যুক্তরাজ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি ৩০৯টি রক্ত জমাট বাঁধার কেসের সাথে যুক্ত এবং ৩৩ মিলিয়ন টিকা গ্রহীতার মধ্যে ৫৬ জন মারা গেছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া বক্তব্যে মার্শালেক বলেন, ফাইজার কিংবা মর্ডানার ভ্যাকসিনগুলোর ক্ষেত্রে আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারণ, সেগুলোর স্পাইক প্রোটিন সরাসরি কোষের ফ্লুয়িডে প্রেরণ করা হয়, তা নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করেনা।
ভ্যাকসিনগুলোর পার্শপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আরো গবেষণা এবং সেগুলোকে আরো উন্নত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
জনসন অ্যান্ড জনসন রয়টার্সের কাছে দেওয়া এক ইমেইলে উল্লেখ করা, তারা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনা চালিয়ে যাবে।
২৮ মে ২০২১
এনএইচ