মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের শনাক্ত বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভাইরাসটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী ‘জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
একটি টুইট বার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, সংক্রমণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আমরা খুব কমই বুঝি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মাঙ্কিপস্ক নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার।
সারা বিশ্বে মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৭৫টি দেশে এ রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও হানা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স। তাই বাংলাদেশেও যেকোনো সময় হানা দিতে পারে এ রোগটি।
মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা জারির অর্থ হলো নতুন এ রোগটি যেন মহামারি আকারে বিস্তার ঘটাতে না পারে, তার জন্য সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া।
তবে হু-র এই জরুরি অবস্থা জারির কারণে কোনো দেশের ওপর আলাদা করে নীতি আরোপের নির্দেশ থাকছে না। বরং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ঘোষণার মাধ্যমে সব দেশকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে এই রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নীতি তৈরির বিষয়ে জোর দিচ্ছে।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়া গেছে। এসব রোগীর মধ্যে শুধু আফ্রিকায় ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বক্তব্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর বেশির ভাগই দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে।
নতুন এ রোগটির উপসর্গ অন্য সব পক্সের মতোই। শুরুতে ব্রণ আর ফোসকার মতো গোটা দেখা দেয়, যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৪০ বছরের কম বয়সী পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। এই রোগ গর্ভবতী নারী ও দুর্বলদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
২৪ জুলাই ২০২২
এনএইচ