যুক্তরাজ্য হতে আলবেনিয়ান এক নাগরিককে ইউকের সাইকিয়াট্রিক ওয়ার্ড থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য হতে নির্বাসনের জন্য উড়োজাহাজের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্যের ওয়াচডগ তাদের প্রতিবেদনে গত গ্রীষ্মে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তথ্যমতে জানা যায়, একজন আলবেনিয়ান ব্যক্তিকে সুরক্ষিত সাইকিয়াট্রিক ইউনিটে রাখা হয়েছিল। তাকে সরাসরি তার হাসপাতালের বিছানা থেকে হোম অফিসের নির্বাসন উড়োজাহাজে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইএমবি ওয়াচডগের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত গ্রীষ্মে এই ঘটনাটি নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। আইএমবি কারাগার ও অভিবাসন অপসারণ কেন্দ্রগুলির জন্য একটি নজরদারি মূলক ইন্ডিপেন্ডেন্ট মনিটরিং বোর্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোম অফিসের কর্মকর্তা কর্তৃক সিকিউর সাইকিয়াট্রিক ইউনিটের কাছে উক্ত আলবেনিয়ানের যুক্তরাজ্য হতে অপসারণের কাগজপত্র প্রদান করা হয়েছিল।
লোকটি তার রিলিজ ডকুমেন্টগুলিতে স্বাক্ষর করেছিল। তবে আইএমবি মনিটররা জানান তারা অনিশ্চিত যে লোকটি বুঝেশুনে এই সাক্ষর প্রদান করেছে কারণ সম্পূর্ণ কাগজাদি ইংরেজিতে ছিল এবং লোকটি ইংরেজিতে দক্ষ কিংবা তিনি মানসিকভাবে স্থির কিনা তা অস্পষ্ট ছিল।
যখন তাকে সাইকিয়াট্রিক ইউনিট থেকে সরানো হয়েছিল তখন তাকে আলবেনিয়ায় বিমানের উদ্দেশ্যে রাখার আগে হোম অফিসের একটি ভ্যানে তাকে বসিয়ে রাখা হয়।
মনিটররা জানান, তারা উক্ত ঘটনা নিয়ে হোম অফিসকে জিজ্ঞাসা করলে, তখন হোম অফিস কর্মকর্তারা বলেছিলেন এটি প্রকাশিত নীতিমালা মেনেই করা হয়েছে।
আলবেনিয়ায়দের জন্য সাপ্তাহিক নির্বাসনের জন্য যুক্তরাজ্য কর্তৃক চার্টার ফ্লাইট রয়েছে। আইএমবি এই চার্টার ফ্লাইট ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে এবং তাদের মতামত অনুযায়ী যে সকল আলবেনিয়ানদের অপসারণ করা হয়েছে তাদের সাথে মানবিক আচরণ করা হয় নাই।
আইএমবি প্রতিবেদনে জানা যায় ২০২২ সালে তারা চারটি অনৈতিকভাবে অপসারণের ঘটনা খুঁজে পান যা ২০২৩ সালে ১৬ টিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
অপসারণকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক থাকাকালীন দুর্বলচিত্তের বলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল এবং আইএমবি তিনটি ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছে যেখানে আলবেনিয়ানদের অনেকে নিজেদের জীবন নেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন।
ডিটেনশন সেন্টার থেকে বিমানবন্দরে লোকদের নিয়ে যাওয়া কোচ ড্রাইভারদের মান নিয়েও সমালোচনার জন্ম দেয়। আইএমবি মনিটরদের মতে এক তৃতীয়াংশ কোচ অনিরাপদভাবে চালিত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
দাতব্য মেডিকেল জাস্টিসের পরিচালক এমা জিন বলেন, “ সাত ঘন্টা ভ্যানে রাখা কারও পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়, এছাড়া এমন লোক ভ্যানে ছিল যাদের হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাথে থাকার কথা।”
উক্ত বিষয়ে হোম অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৫ জুলাই ২০২৪