নিউ ইয়র্ক সিটির সবচেয়ে কম বয়সি ও প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোটে জিতেই বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিয়েছেন তিনি। তবে ট্রাম্পও ছেড়ে কথা বলেননি। প্রায় ৩০ মিনিটের বিজয় ভাষণ শেষ হওয়া সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন ‘…এবং এটি শুরু হলো!’
আর এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প-মামদানির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হলো। এই দ্বন্দ্বই সম্ভবত ৩৪ বছর বয়সি মেয়র ও ট্রাম্পের সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নেবে তা বলে দেবে।
মঙ্গলবার রাতে বিজয়ী ঘোষণা হওয়ার পর, ব্রুকলিনে সমর্থকদের সামনে দেওয়া ভাষণে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি যত দূর জানি, আপনি দেখছেন। আমি আপনাকে চারটি শব্দ বলতে চাই : আওয়াজটা আরও জোরে তুলুন ( টার্ন দ্য ভলিউম আপ)।
ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে জোহরান আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কারো কাছে আপনি পৌঁছাতে চাইলে আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’ জোহরান যখন তার বিজয়ী ভাষণে ট্রাম্পকে নিয়ে কথা বলছেন, ওই সময় ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘…এবং এবার এটা শুরু হলো!’
ডেমোক্র্যাট মামদানি আরও বলেছেন, “এটাই শুধু ট্রাম্পকে থামানোর উপায় নয়। এভাবেই আমরা পরের জনকেও থামাবো।”
নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প সরাসরি মামদানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি এমনকি নিজ দলের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমোকে সমর্থন জানিয়েছেন। মামদানি জিতলে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল তহবিল কাঁটছাটেরও হুমকি দিয়েছেন।
সেই সবকিছু উপেক্ষা করে নিউ ইয়র্কবাসী মামদানিকেই ভোট দিয়েছেন। শহরের নির্বাচনি বোর্ডের তথ্য অনুসারে, দুই মিলিয়নের বেশি নিউ ইয়র্কবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন, যা ৫০ বছরেরও বেশি সময়ে মেয়র নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটগ্রহণের রেকর্ড।
প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে মামদানি কুওমোর তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশের ব্যবধান দিয়ে এগিয়ে ছিলেন।
এদিকে ভোট না জেতার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্প। মামদানিকে লক্ষ্য করে ট্রাম্প পোস্ট করেছেন, ‘ভোট জরিপকারীরা বলছে, ট্রাম্প নামটা ব্যালটে ছিল না এবং শাটডাউন-এই দুই কারণেই রিপাবলিকানরা আজকের নির্বাচনে হেরেছে।
সূত্রঃ বিবিসি, এনডিটিভি
এম.কে

