চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির সামরিক শাসন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বন্ধুত্ব ও স্বার্থ বিভিন্ন খাতিরেই আগ্রহ দেখাচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো। পিছিয়ে নেই রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তানও। এদিকে সম্প্রতি ইরানে আন্ত-আফগান আলোচনায় তালেবানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আফগান সরকারের একটি প্রতিনিধিদল।
দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই উভয় পক্ষের মধ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কাতারে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে দেশে ক্রমাগত বাড়তে থাকা সংঘাতের ফলে সে আলোচনা এখন স্থগিত রয়েছে। এরইমধ্যে ইরানের রাজধানী তেহরানে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ। তাতে মধ্যস্থতা করে ইরান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) তেহরানে আন্ত-আফগান বৈঠকের সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ইরান ভবিষ্যতেও এ ধরনের বৈঠকের আয়োজন করতে প্রস্তুত রয়েছে। দুদিন ধরে চলা এই বৈঠক শেষ হয় ইতিবাচক ভাবধারার মধ্য দিয়ে।
আলোচনা বৈঠকের পর একটি সমন্বিত বিবৃতি দেয়া হয়েছে। ছয় ধারাবিশিষ্ট ঐ বিবৃতিতে উভয় পক্ষ যুদ্ধ বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতেই পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। জারিফ বলেন, “যুদ্ধ নয় বরং শান্তির পথে সাহসিকতা প্রদর্শন করতে হবে। অতিরিক্ত প্রত্যাশা পরিহার করে ছাড় দেয়ার মনোভাব জোরদার করতে হবে।“
তিনি আরও বলেন, “আফগান জাতি ৪০ বছর ধরে যুদ্ধে আক্রান্ত। যত দ্রুত সম্ভব এই জাতির উচিৎ যুদ্ধ বন্ধ করে উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা।“
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ইরান এ ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান। এরফলে আফগানিস্তান নবোদয়ের আশা দেখতে পাচ্ছে দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষার্থে। পরবর্তী পদক্ষেপই বলে দেবে নতুন পথে আফগানিস্তান কোণ দিকে আগাবে।
৯ জুলাই ২০২১
এনএইচ