মালদ্বীপ গিয়ে ভিসা জটিলতায় পড়ছেন দেশটিতে কাজের সন্ধানে পাড়ি জমানো অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি। অসাধু চক্রের খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন তারা। ওয়ার্ক ভিসার নামে ভুয়া ভিসার মাধ্যমে অসহায় মানুষদের সরলতার সুযোগ নিচ্ছে তারা। এসব ভিসা নিয়ে মালদ্বীপে কাজের জন্য আসার বিষয়ে আগ্রহী কর্মীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
উন্নত জীবন ও অধিক উপার্জনের আশায় অসংখ্য বাংলাদেশি পাড়ি জমাচ্ছেন মালদ্বীপে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু চক্র।
গ্রামের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ‘ফ্রি ভিসা’ নামের একধরনের ভিসার উদ্ভাবন করে চলছে অবৈধ ব্যবসা। এর খপ্পড়ে পড়ে নিস্ব হচ্ছেন অনেকে। মালদ্বীপে এসে কাজ ছাড়া ঘুরছেন ভবঘুরের মতো। এ ধরনের ভিসা পরিহার করে মালদ্বীপে আসার আগে কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালদ্বীপে প্রবাসী জনসংখ্যার শীর্ষে বাংলাদেশিরা থাকলেও অধিকাংশই এখনো অবৈধভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বৈধতা নিয়ে কাজ করা উচ্চ এবং মধ্যবর্তী পেশায় বাংলাদেশি কর্মীও খুব বেশি নেই। ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রবাসী পেশাজীবীরা এসব পদ ধরে রেখেছেন।
মালদ্বীপে নির্দিষ্ট কোম্পানি ছাড়া বাইরে কাজের অনুমতি নেই। তাই ভুয়া ওয়ার্ক ভিসায় এসে কর্মরত অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লে গুনতে হবে জরিমানা। হতে পারে জেল। এমনকি ফেরত পাঠানো হতে পারে দেশে।
মালদ্বীপে বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর বলেন, যারা মালদ্বীপে আসতে চান তাদেরকে অবশ্যই ভিসাটি যাচাই করতে হবে। এখন অনলাইনে সহজেই ভিসা যাচাই করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
প্রবাসে পাড়ি জমানোর আগে বাংলাদেশিদের সচেতন হওয়া দরকার। তাহলেই সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এম.কে
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪