যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন পরিবেশ সচিব জর্জ ইউস্টিস ৩৫ বছরের কম বয়সী ইইউ নাগরিকদের জন্য একটি পারস্পরিক ভিসা স্কিমের আহ্বান জানিয়েছেন। এই স্কিমের অধীনে ইইউ নাগরিকেরা যেন ব্রিটেন জুড়ে কাজ করতে পারেন এটাই তার মূল আলোচনার বিষয়।
রবিবার একটি শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে, ইইউ থেকে কয়েক হাজার তরুণ শ্রমিকদের জন্য যুক্তরাজ্যের সীমানা পুনরায় খোলার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান প্রাক্তন পরিবেশ সচিব।
যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে ইমিগ্রেশন নীতিমালার ব্যর্থতার চিত্র পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে বিরাজ করছে বলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি মনে করেন ঋষি সুনাকের শীঘ্রই ইইউ দেশগুলির সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করা উচিত।
ইউস্টিস, যিনি বরিস জনসনের অধীনে পরিবেশ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি ছিলেন, তিনি বলেন ইইউয়ের সাথে এই চুক্তিগুলি পারস্পরিক হওয়া উচিত যাতে ৩৫ বছরের কম বয়সী তরুণ নাগরিকরা কাজের জন্য ব্রিটেনে আসতে পারেন সহজেই। যা আমাদের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সাথে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় “ব্রেক্সিট-পরবর্তী পুনর্মিলন” এর অংশ বলে বিবেচিত হবে।
সাংবাদিকরা ব্রেক্সিটের কারণে শ্রমের ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইউস্টিস জানান, “আমি মনে করি ব্রেক্সিটের প্রিজমের মাধ্যমে সবকিছু দেখা আমাদের বন্ধ করতে হবে। এই দুরাবস্থা ব্রেক্সিটের কারণে নয় তবে আমাদের ব্রেক্সিট পরবর্তী ইমিগ্রেশন নীতি ব্যর্থতার কারণে ঘটেছে। “
তার মন্তব্যগুলি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইমিগ্রেশন নিয়ে টরি পার্টির মধ্যে গভীর বিভাজন প্রকাশ হয়ে পড়েছে এইসব মন্তব্যের কারণে।
হোম অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সহ ১০ টি দেশের সাথে আমাদের ইতিমধ্যে সফল কিছু স্কিম রয়েছে। ইইউ সদস্যসহ আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে যুব স্কিমের অধীনে কাজ করতে যুক্তরাজ্য সবসময় উন্মুক্ত রয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, যখন যুক্তরাজ্য ইইউর সদস্য ছিল তখন সমস্ত যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা স্বাধীনভাবে ইইউতে অবাধে ভ্রমণ এবং কাজ করতে সক্ষম ছিল। তবে সেই স্বয়ংক্রিয় অধিকারগুলি ব্রেক্সিটের সাথে সাথেই নিভে যায়। যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা এখন ইইউতে কাজ করতে হলে বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্য দিয়েও যেতে হয়।
এম.কে
০৯ জুলাই ২০২৩