পরিসংখ্যান বলছে, আগামী দশ বছরে যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ মিলিয়ন বাড়তে পারে।
নেট অভিবাসন যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা ২০৩২ সালের মধ্যে ৭২.৫ মিলিয়নে পৌঁছানোর কারণ হতে পারে বলে তথ্য উপস্থাপন করেছে যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান বিভাগ।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ওএনএস) জানায়, ২০২২ থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ৭.৩% বৃদ্ধি পাবে, যা আগের দশ বছরের ৬.১% বৃদ্ধির চেয়ে বেশি।
এই সংখ্যা প্রায় সম্পূর্ণভাবে নেট অভিবাসনের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা হল দেশে প্রবেশ এবং প্রস্থানকারীদের মধ্যে প্রায় ৪.৯ মিলিয়ন মানুষের পার্থক্য।
ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, তারা “উচ্চ” অভিবাসনের মাত্রা দ্রুত কমাতে চায়।
ওএনএস এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে:
৬.৭৯ মিলিয়ন মানুষ জন্মগ্রহণ করবে।
৬.৮১ মিলিয়ন মানুষ মারা যাবে।
৯.৯১ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন করবে।
৪.৯৮ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাবে।
ওএনএস অনুমান করছে যে ২০২৮ সাল থেকে, নেট অভিবাসন প্রতি বছর গড়ে ৩,৪০,০০০ জন হবে। যা পূর্ববর্তী বাৎসরিক অভিবাসন ৩,১৫,০০০ জনের চেয়ে বেশি।
২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে নেট অভিবাসন রেকর্ড ৯,০৬,০০০ জন ছিল, যা ২০২৪ সালের জুনে ৭,২৮,০০০-জনে নেমে আসে।
ওএনএস বলেছে, এই সংখ্যা প্রকল্পিত, পূর্বাভাস নয়, এবং প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি বা কম হতে পারে।
হোম অফিস বলেছে, ” উচ্চ” অভিবাসনের মাত্রা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে এবং তারা এই সংখ্যা “উল্লেখযোগ্যভাবে” কমানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেডো হোম সেক্রেটারি ক্রিস ফিলিপ বলেছেন, এই দ্রুত বর্ধনশীল সঙ্খ্যাগণনার ধারণা ” অগ্রহণযোগ্য” এবং এটি “প্রতিরোধ করা উচিত”।
ইংল্যান্ডে জনসংখ্যা ৭.৮% বৃদ্ধি পাবে, যা ওয়েলসের ৫.৯%, স্কটল্যান্ডের ৪.৪%, এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ২.১% বৃদ্ধি থেকে বেশি।
ওএনএস বলেছে, ২০২৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে মৃত্যু সংখ্যা জন্মহারকে ছাড়িয়ে যাবে, যার ফলে অভিবাসনই জনসংখ্যা বৃদ্ধির একমাত্র উৎস হয়ে উঠবে।
এটি বোঝায়, যদি অভিবাসন না হয় বা শিশু জন্মের হার ব্যাপক বৃদ্ধি না পায়, তবে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে।
এই পরিসংখ্যান অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পেনশনের মতো জনসেবা খাতে ব্যবহৃত হয়।
রেজোলিউশন ফাউন্ডেশন বলেছে, এই প্রজেকশনগুলো অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটির (ওবিআর) মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও রাজস্ব পরিস্থিতি উন্নত করবে এবং প্রায় £৫ বিলিয়ন ঋণ হ্রাস করবে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫