যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিটেনশনে আটকদের মধ্যে পাচারের শিকার হওয়া (হিউম্যান ট্রাফিকিং) ব্যক্তিদের সংখ্যা সম্প্রতি ব্যাপক বেড়েছে। গার্ডিয়ানের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত চার বছরে এই সংখ্যা দশগুণেরও বেশি বেড়েছে।
খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে ডিটেনশনে থাকা ৮৬ জনের মধ্যে ১৪ শতাংশের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি ছিল (পজিটিভ রিজনেবল গ্রাউন্ড ফর হিউম্যান ট্রাফিকিং) বা মানব পাচারের সম্ভাব্য ভিকটিম। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে ১ হাজার ৫৩ জনে দাঁড়ায় এবং যাদের ৮৬ শতাংশের পজিটিভ রিজনেবল গ্রাউন্ড রয়েছে।
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে হোম অফিস আগের চেয়ে উন্নত পদ্ধতি অবলম্বনের কারণে এই বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে এমনটি অনেকে মনে করলেও, পাচার বিরোধী প্রচারণাকারীরা বলছেন আটকের আগে এত সংখ্যক ভিকটিমকে চিহ্নিত করা যায়নি।
বিভিন্ন সংস্থার মতে, পাচারের শিকার ব্যক্তিরা কয়েক মাস ধরে, এমনকি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে আটক রয়েছেন।
প্রচারকারীরা বলছেন, তথ্যটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ সরকার স্বীকার করেছে যে নতুন নীতিগুলি আরও বেশি সংখ্যক মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের আটকে রাখবে।
নতুন নিয়মের অধীনে, আটককেন্দ্র থেকে মুক্তির জন্য মানব পাচারের সম্ভাব্য ভিকটিমদের বিবেচনায় নিতে ভবিষ্যতে মেডিকেল এভিডেন্স দেখাতে হবে। এদিকে কেউ পাচারের শিকার কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠিত ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট কম্পিটেন্ট অথরিটিকে।
ফ্লেক্স-এর পিটার উইলটসনিগ বলেছেন, আটককেন্দ্রের পরিবেশ অগ্রহণযোগ্য। এটি বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া নতুন নিয়মগুলি ক্ষতিগ্রস্তদের এগিয়ে আসার এবং তাদের অভিবাসন স্থিতি অনিশ্চিত হলে সাহায্য চাওয়ার ইচ্ছাকে বিপন্ন করতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সরকার আধুনিক দাসত্বের জঘন্য অপরাধ মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভিকটিমদের জীবন পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং যারা দায়ী তাদের বিচার নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ