ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হারকে বাড়িয়ে ৫% এ উন্নীত করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড জানায়।
ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) ২০০৮ সাল থেকে টানা ১৩ তম বারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি করল।
ঋষি সুনাক জোর দিয়েছিলেন যে তার সরকার মুদ্রাস্ফীতি রোধে “নিজেদের পথে অবিচল থাকবেন”। লক্ষ লক্ষ পরিবার অর্থনৈতিক চাপ অনুভব করায় প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সরকার ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
বুধবার পরিসংখ্যানে দেখা যায় মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৮.৭% এ অপরিবর্তিত রয়েছে, যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। যদিও অর্থনীতিবিদরা ধারনা করেছিলেন মুদ্রাস্ফীতি ৮.৪% এ নেমে আসবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে অবিরাম মুদ্রাস্ফীতি রুখতে তাদের নজরদারি অব্যাহত রাখবে এবং প্রয়োজনে সুদের হারকে আরও বৃদ্ধি করা হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বৃহস্পতিবারের সুদের হার বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ক্রিসমাসের আগে তার বেস রেট ৬% এর উপরে নিতে তারা চাপ প্রয়োগ করে যাবে।
হারগ্রিভস ল্যানসডাউন -এর অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সুসান্না স্ট্রিটার বলেছেন, “ মন্দা এড়ানোর জন্য যুক্তরাজ্যের উপর বিশাল চাপ রয়েছে এবং অর্থনৈতিক খাতগুলো দূর্বল হতে যাচ্ছে যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।”
ছায়া চ্যান্সেলর রাহেল রিভস সুনাক এবং চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টকে দায়ী করে বলেন, “বালিতে মাথা ঢুকিয়ে রাখলেই প্রলয় বন্ধ হবে না। টরি সরকার যে জগাখিচুড়ি অবস্থার সৃষ্টি করেছে তা পরিষ্কার করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ব্রিটেনর পরিবারগুলি আজকের সুদের হার বৃদ্ধির অর্থ কী তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন।”
তবে হান্ট জানান, “মুদ্রাস্ফীতিকে ধরে রাখতে সরকারের সংকল্প ছিল, আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নেই তাহলে এটি পরে আরও খারাপ হবে। ”
গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি সহ ব্যাংকের রেট-সেটিং প্যানেলের সাত সদস্য সুদের হার বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে সুনাক সরকার অর্থনৈতিক চাপ হতে উত্তরণের জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন হতে। মন্দার ঝুঁকি হতে বাঁচতে কনজারভেটিভ সরকারের এই ব্যবস্থা কতটুকু কার্যকরী হয় সেটা নিয়েই আলোচনা করে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
এম.কে
২৩ জুন ২০২৩