যুক্তরাজ্য আবাসন সংকটের মুখোমুখি অবস্থানে আছে বহুদিন হতে। তা সত্ত্বেও বর্তমানে কয়েক হাজার কাউন্সিল ঘর খালি পড়ে আছে বলে তথ্যানুযায়ী জানা যায়।
ইংল্যান্ডে বর্তমানে ৩৩,৯৯৩টি শূন্য কাউন্সিলের ঘর রয়েছে। যা ২০০৯ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যা বলে তথ্যানুযায়ী জানা যায়।
এগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘর সিলগালা করা অবস্থায় আছে যা দক্ষিণ লন্ডনের ল্যাম্বেথ অঞ্চলে অবস্থিত। এছাড়া দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাউথওয়ার্কের সীমান্তবর্তী কাউন্সিলে একটি টাওয়ার ব্লকের ১৪৪টি ফ্ল্যাট ২০১৫ সাল থেকে খালি পড়ে রয়েছে। যা পুনর্নির্মাণ করার জন্য ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থায় আছে বলে জানা যায়।
স্কাই নিউজ হাইজিং সমস্যা দীর্ঘদিন হতে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে হাউজিং ক্যাম্পেইনার কোয়েজো টোয়েনবোয়ার নিকট হতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।
মিঃ টোয়েনবোয়া স্কাই নিউজকে জানান, ” রাস্তাঘাটে লোকজন ঘুমাচ্ছে, অনেকে থাকার জায়গা পাচ্ছে না।কিন্তু কাউন্সিলের হাজার হাজার প্লট খালি পড়ে আছে যা ব্যবহার করা হচ্ছে না।”
তিনি আরো জানান, কাউন্সিল নিজস্ব বাড়িগুলি মেরামত করার পরিবর্তে বন্ধ করে রেখে দিয়েছে কিন্তু তারা তাদের নাগরিকদের পিছনে ব্রেড এণ্ড ব্রেকফাস্ট হোটেলে অর্থ অপচয় করে যাচ্ছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান হতে দেখা যায় ইংল্যান্ডের ১,৪৫,৮০০ জন শিশু গৃহহীন এবং অস্থায়ী আবাসে বসবাস করছে। যা গত এক বছর আগের রেকর্ডের চেয়ে ১৫% বেশি।
যদিও স্থানীয় সরকার সমিতি (এলজিএ) আবাসযুক্ত ঘরের ঘাটতির জন্য কাউন্সিলের তহবিলের ঘাটতি বলে দাবি জানিয়েছে।
এলজিএর আবাসন মুখপাত্র ভিক্টর চেম্বারলাইন স্কাই নিউজকে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে কাউন্সিল অর্থের কারণে পুরাতন ঘর পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হচ্ছেনা।
তিনি বলেন যার কারণে কাউন্সিলের অস্থায়ী আবাস কিংবা ব্রেড এণ্ড ব্রেকফাস্টে অর্থ প্রদান করতে হয়।কাউন্সিল তার নাগরকিদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হিসাবে রাস্তায় ঠেলে দিতে পারে না।
উল্লেখ্য যে, কাউন্সিলের ঘরের ঘাটতি এবং আবাসন সমস্যা যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিনের। তাই নতুন করে ঘর তৈরি এবং শহর বর্ধিত করণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
০৭ জুন ২০২৪