18.5 C
London
May 25, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স কার্যত সামরিক নিয়ন্ত্রণেঃ আইআরআর-এর প্রতিবেদন

যুক্তরাজ্যের একটি নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স এখন কার্যত সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা পুলিশ বাহিনীর ‘হাইপার-মিলিটারাইজেশন’-এর একটি উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্সটিটিউট অব রেইস রিলেশনস (IRR)। প্রতিবেদনটি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে।

IRR-এর পরিচালক এবং প্রতিবেদনটির লেখক লিজ ফেকেট বলেন, “ সরকার প্রথমে ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেছে। এরপর ফরাসি পুলিশকে বোট ‘পুশব্যাক’ করার অনুমতি দেওয়া হয়, যা আরও মৃত্যু ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।”

প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে, ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Home Office) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (MoD) সহায়তা চায় এবং বর্ডার ফোর্সের মধ্যে “ক্লানডেস্টাইন চ্যানেল থ্রেট কমান্ডার” নামে একটি নতুন পদ তৈরি করে। এর ফলে চ্যানেল অঞ্চল কার্যত “সামরিকীকৃত” হয়ে ওঠে।

ইন্সটিটিউট অব রেইস রিলেশনস জানায়, নটিং হিল কার্নিভাল ও ২০২০ সালের ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে প্লাস্টিক বুলেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া, পুলিশ ঘোড়া দিয়ে চার্জ, পিপার স্প্রে এবং ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর সহিংস দমন অভিযান চালায়।

ক্রাইম ইউনিটে আলাদা আগ্নেয়াস্ত্রধারী ইউনিট তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে মার্ক ডাগান, ক্রিস কাবা ও জ্যঁ চার্লস ডি মেনেজেসের মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে।

ইন্সটিটিউট অব রেইস রিলেশনস প্রতিবেদনটি লেবার নেতা কেয়ার স্টারমারের ২০২৪ সালের ঘোষণাকেও তুলে ধরেছে, যেখানে তিনি বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ডকে সন্ত্রাসবিরোধী ক্ষমতা দিয়েছেন এবং সামরিক ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে চ্যানেলকে ‘সামরিকীকৃত’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তাসার, রাবার বুলেটের মতো অস্ত্র “কম প্রাণঘাতী” বলা হলেও ইউরোপজুড়ে ৬৯ জন শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু ঘটেছে এসব অস্ত্র ব্যবহারে—বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকার অভিবাসী, যাদের স্প্যানিশ-মরোক্কান সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে।

ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার ইউকের জাতীয় সংগঠক কোজো কায়ারেওয়া বলেন, “মেট পুলিশ যেসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছে—৫,৯০০ প্লাস্টিক বুলেট ও ৭০০ প্রশিক্ষিত অফিসার—তারা জনগণের সুরক্ষার জন্য নয়, বরং কৃষ্ণাঙ্গদের দমন করার জন্য তৈরি।”

হোম অফিস জানায়, “যুক্তরাজ্যে পুলিশের স্বাধীন কাজ করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। তাদের কৌশল নির্ধারণ সম্পূর্ণরূপে একটি অপারেশনাল সিদ্ধান্ত।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৫ মে ২০২৫

আরো পড়ুন

লন্ডনে প্রতি ৬ মিনিটে একটি মোবাইল চুরি

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে হত্যার হুমকি

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: গ্রেটার ম্যানচেস্টার ও ল্যাংকাশায়ারে ভ্রমণ সতর্কতা জারি

অনলাইন ডেস্ক