যুক্তরাজ্যে হেইট ক্রাইম পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। জাতিসংঘ বলেছে, ইউকের রাজনীতিবিদেরা এবং কমিউনিটির নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা বর্ণবাদী বক্তব্য প্রদান করা রোধ করতে হবে।
জাতিসংঘের এক সংস্থা তাদের প্রতিবেদন রিপোর্টে জানিয়েছে, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের বর্ণবাদী বক্তৃতা রোধে দ্রুত কাজ করা উচিত। নাহলে এই ব্যাধি মারাত্মক ক্ষতি করবে।
গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যে জাতি বৈষম্য মোকাবেলায় ব্রিটেনের রেকর্ড সম্পর্কে চার বছরের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের মধ্যে বর্ণবাদ “অত্যন্ত উদ্বেগজনক” বলে তুলে ধরা হয়। বর্ণবাদ সংক্রান্ত ঘটনার জন্য কিছুক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের দায়ী করা হয়।
জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি আরো জানায়,
“আফ্রিকান বংশোদ্ভূত শিশুদের উপর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা সঠিক আচরণ করেন না। যা শিশুদের মনে বর্ণবাদের দাগ কাটে শিশুদের ছোটবেলা হতে।”
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়, “জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থী বা কোমলমতি শিশুদের সাথে বর্ণবাদী আচরণ বা ওভার-পুলিশিং মানসিকতা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শিশুদের উপর বর্ণবাদী আচরণ নিষিদ্ধ করার জন্য আইন ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”
কর্মকর্তারা বর্ণবাদী ঘটনা সনাক্ত করতে ও জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড ঘেটে জানান, ২০১৬ সাল থেকে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। জাতিসংঘের সংস্থার সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী, ” চরমপন্থী আধিপত্যবাদী ব্যক্তিদের দ্বারা আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী কাজ, সহিংসতা এবং ঘৃণ্য বক্তৃতা নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জেনোফোবিক মতামত বৃদ্ধি বর্ণবাদ আচরণ উত্থানের নিয়ামক হিসাবে কাজ করে।”
শুক্রবার একজন সরকারের মুখপাত্র বলেছেন: “আমরা অনলাইনে এবং আমাদের রাস্তায় যে ঘৃণা, সহিংসতা ও বর্ণবাদী আচরণ দেখেছি তা ভয় পাওয়ার মতো বিষয়। কোনো যুক্তি বা অজুহাত দেখিয়ে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই বরং এইসব আচরণকে প্রতিহত করতে হবে। বর্ণবাদী আচরণ একটি মানসিক ব্যাধি যা মোকাবিলা করতে সরকার কঠিন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৬ আগস্ট ২০২৪