চলতি বছরে যুক্তরাজ্যের রিটেইল খাতে ১ হাজার ৩০০টি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। দোকান থেকে পণ্য হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি দেশটিতে বেড়েছে কর্মীদের সঙ্গে সহিংস আচরণ। অপরাধের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রিটেইল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্টরা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের (বিআরসি) প্রতিবেদন অনুসারে, রিটেইল খাতে বর্ণবৈষম্য, শ্লীলতাহানি, শারীরিকভাবে হেনস্তা, অস্ত্র নিয়ে হুমকির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দোকানে চৌর্যবৃত্তির ঘটনা।
রিটেইল খাতের বর্তমান অবস্থার জন্য অনেকেই মূল্যস্ফীতিকে বড় অনুঘটক হিসেবে দেখছেন। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় উপাদানের দাম গত দুই বছরের তুলনায় উঁচুতে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কর্মীদের বদলে প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এ ধরনের প্রবণতা আরো বেড়েছে। যদিও খুচরা ব্যবসায়ীরা সম্মিলিত অপরাধ চক্র ও নিরাপত্তা সংকটের কথা বলছেন।
বিআরসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেন ডিকিনসন অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের মাধ্যমে উদাহরণ স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অপরাধ, সহিংসতা ও কর্মীদের হেনস্তা মোকাবেলায় খুচরা ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে। কিন্তু অপরাধীদের তেমন কোনো শাস্তি দেয়া হয় না পণ্য চুরি ও হেনস্তার জবাবে। ফলে কেউ নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এগিয়ে যেতে চায় না।’
মহামারীপূর্ব সময়ের তুলনায় রিটেইল খাতে চুরির সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে। ২০২০ সালের লকডাউনের সময় সহিংসতা ও হেনস্তার হার কিছুটা কমে গেলেও পরের দিনগুলোয় তা দ্রুত বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রিটেইল খাতের মধ্যে ছিল টেসকো, বুটস, ডব্লিউএইচ স্মিথ ও সেইন্সবেরি।
এর আগে গত অক্টোবরে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো রিটেইল খাতে অপরাধ বৃদ্ধির জন্য তারা সরকারের কাছে পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন করেছিল। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশেষ আইনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়, যার অধীনে পুলিশ দ্রুত অপরাধ কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪