রিফর্ম ইউকে ঘোষণা করেছে যে তারা এখন ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এবং সদস্য সংখ্যায় লেবার পার্টিকে ছাড়িয়ে গেছে। দলটির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী তাদের সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি, যেখানে বিভিন্ন প্রতিবেদনে লেবারের সদস্য সংখ্যা নেমে এসেছে ২ লাখ ৫০ হাজারের নিচে। রিফর্ম নেতা নাইজেল ফারাজ বলেন, “রিফর্ম এখন ব্রিটিশ রাজনীতির সবচেয়ে বড় দল—এটি আগামী নির্বাচনে জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দুই–দলের রাজনীতির যুগ শেষ।”
দ্য টাইমস জানিয়েছে, লেবারের অভ্যন্তরীণ হিসাব অনুযায়ী তাদের পরিশোধিত সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের নিচে নেমেছে। মধ্য-বামপন্থী গ্রুপ ‘মেইনস্ট্রিম’ এই পরিস্থিতিকে “ধস নামা সদস্যপদ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, বর্তমান নেতৃত্বের কেন্দ্রভিত্তিক কাঠামো ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মতে, লেবারকে জিততে হলে আবার তৃণমূলভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
লেবার পার্টি নিয়মিতভাবে সদস্য সংখ্যার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে না। বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫, যা ২০২৩ সালের তুলনায় কম। জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে যেখানে সদস্য সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছিল, সেখান থেকে টানা কয়েক বছর ধরে এটি নিম্নমুখী।
রিফর্ম ইউকে–র সদস্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলটির তহবিলও শক্তিশালী হচ্ছে। গত আগস্টে থাইল্যান্ডভিত্তিক ব্যবসায়ী ক্রিস্টোফার হারবর্ন দলটিকে ৯ মিলিয়ন পাউন্ড দান করেছেন, যা ব্রিটিশ রাজনৈতিক ইতিহাসে জীবিত ব্যক্তির সর্বোচ্চ একক দান। ফারাজ দাবি করেছেন, হারবর্ন বিনিময়ে কিছু চান না এবং অর্থের উৎস নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
এদিকে গ্রিন পার্টিও উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখছে। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন নেতা জ্যাক পোলানস্কি দায়িত্ব নেওয়ার পর গ্রিনদের সদস্যপদ ৭০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি, যা এখন কনজারভেটিভদের সদস্য সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কনজারভেটিভদের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে

