আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের উপ -প্রধান মিসেস গোপিনাথ বলেছেন, ইউকের চাকুরির বাজারে শূন্যস্থান পূরণ করতে ইমিগ্র্যান্টরাই স্বস্তি দিতে পারে। ইমিগ্র্যান্টরাই দীর্ঘদিন হতে ইউকের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করতে সহায়তা করে যাচ্ছে।
তবে যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই মূহুর্তে যুক্তরাজ্যে বৈধ অভিবাসন হার প্রয়োজনের চেয়ে “অনেক বেশি”।
নেট মাইগ্রেশনের হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী লোকের সংখ্যা এবং যারা চলে যাচ্ছেন তাদের সংখ্যায় বড় পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের মতে, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে ইমিগ্র্যান্ট প্রবেশের সংখ্যা একটি রেকর্ড পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ৮.৭% দাঁড়িয়েছে। যা জি সেভেনের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
আইএমএফের উপ -ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন,
” যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি যতটা উঁচুতে রয়েছে তা নামিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারে ইমিগ্র্যান্ট শ্রমিকেরা। সুতরাং আমি মনে করি বিদেশী শ্রমিকরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সুবিধা অবশ্যই রয়েছে।”
সর্বশেষতম সরকারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে এখনও এক মিলিয়নেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে।
সর্বোচ্চ কাজের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে আবাসন এবং খাদ্য (৫.৫%), স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাজ (৪.৫%) এবং পেশাদার বৈজ্ঞানিক কাজ (৪%)।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতির হারের কারণে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে।
তাছাড়া চিনি এবং দুধের দাম বাড়ার সাথে সাথে খাবারের দাম উদ্বেগজনকভাবে বাড়বে বলে তারা মতামত জানান।
মিসেস গোপিনাথ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান, আইএমএফ ২০১৮ সালে পূর্বাভাসে জানায়েছিল ব্রেক্সিট ইউকে অর্থনীতির জিডিপি হ্রাস করবে।
যদি আমরা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক ডাটাবেইজ দেখি তা সহজেই অনুমান করা যায়।
২০১৬ সাল থেকে ইউকে বিনিয়োগে দুর্বল হয়েছে তাছাড়া শ্রমবাজারের নমনীয়তা হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সুতরাং এই সমস্ত কারণগুলি দুর্বল অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কনজারভেটিভ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা শ্রমের ঘাটতি পূরণের জন্য আমাদের ঘরোয়া কর্মশক্তিতে বিনিয়োগ করতে চাই, তবে যেখানে কর্মীদের তীব্র প্রয়োজন রয়েছে সেখানে অবস্থা অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
এম.কে
০৭ জুন ২০২৩