যুক্তরাজ্য সরকারের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস ব্রিটেনের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে নতুন করে £৬৮০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন। এই অর্থ দিয়ে অতিরিক্ত ড্রোন ও নজরদারি প্রযুক্তি সংগ্রহ করা হবে, যার লক্ষ্য হলো ছোট নৌকায় চ্যানেল পেরিয়ে আগত অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকানো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার এই বরাদ্দের মধ্যে একাই পেয়েছেন £১০০ মিলিয়ন এই বছরের জন্য। পাশাপাশি পরবর্তী তিন বছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আরও £৫৮০ মিলিয়ন, যা দিয়ে সীমান্ত পুলিশের নতুন ইউনিট ও আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
চ্যান্সেলর রিভসের এই পদক্ষেপ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন প্রতিদিন অভিবাসীদের আবাসনের জন্য £৪ মিলিয়ন খরচ হচ্ছে এবং ছোট নৌকায় চ্যানেল পেরিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৫,০০০ ছাড়িয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থকে বিরোধীরা “সাগরে ফোঁটা” বলে আখ্যায়িত করলেও, সরকার বলছে এটি সীমান্ত নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদী পুনর্গঠনের অংশ।
বর্তমানে ব্রিটেন ফ্রান্সকে সৈকত পাহারার জন্য £৪৮০ মিলিয়ন প্রদান করছে এবং অভিবাসীদের হোটেলে রাখার বার্ষিক খরচ দাঁড়িয়েছে £৪.৭ বিলিয়নে, যা প্রায় ৫.৮ লাখ করদাতার পুরো ট্যাক্স আয়ের সমান।
ব্যয় পরিকল্পনায় সীমান্ত ছাড়াও বরাদ্দ রাখা হয়েছে যোগাযোগ, প্রযুক্তি এবং জ্বালানি খাতে। আগামী ১০ বছরে সামাজিক আবাসনের জন্য £৩৯ বিলিয়ন এবং জনপ্রিয় £৩ বাস ভাড়া প্রকল্প চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং তার দপ্তরের জন্য পাচ্ছেন অতিরিক্ত £৩০ বিলিয়ন। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ব্যয় ২০২৭ সালের মধ্যে জিডিপির ২.৫ শতাংশে উন্নীত হবে, যা ২০৩৪ সালের মধ্যে ৩ শতাংশে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
চ্যান্সেলর রিভস সংসদে বলেন, “বিশৃঙ্খলার বদলে আমি স্থিতিশীলতা বেছে নিয়েছি, পতনের বদলে বিনিয়োগ এবং পশ্চাদপসরণের বদলে জাতীয় পুনর্গঠন।”
তবে তার অর্থনৈতিক “স্থিতিশীলতা” ফিরিয়ে আনার দাবি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, কারণ সম্প্রতি বেকারত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬ শতাংশে — যা ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে চাকুরির সুযোগ কমেছে ৬৩,০০০টি।
বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে, বিশ্ব অর্থনীতি ২০০৮ সালের পর সবচেয়ে দুর্বল বছরে প্রবেশ করছে। এরই মাঝে সিভিল সার্ভিসে কর্মসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০,০০০-এ, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
১১ জুন ২০২৫