অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে নতুন কৌশল নিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ছোট নৌকা দিয়ে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম বন্ধ করতে সরকার ডিজিটাল পরিচয়পত্র চালুর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। যদিও জাতীয়ভাবে বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র চালুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেল খালি করে তাদের পুরনো শিল্প এলাকা, সাবেক সামরিক স্থাপনা কিংবা পুরাতন ভবনে স্থানান্তরের পরিকল্পনাও করছে। হোটেলগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী থাকার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ বেড়েছে। বিশেষত এসেক্সের এপিং এলাকায় এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক আশ্রয়প্রার্থী অভিযুক্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় আরও দ্রুত পদক্ষেপ, ফরাসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা, অবৈধ কাজ কমানো, ডিজিটাল আইডির সম্ভাব্য ব্যবহার এবং হোটেল দ্রুত খালি করার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে যাদের দেশে থাকার অধিকার নেই, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর দিকেও জোর দেওয়া হবে।
হোম সেক্রেটারি ইভেট কুপার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হোটেল খালি করা সম্ভব হবে। তবে তিনি ফ্রান্সের সঙ্গে করা “ওয়ান-ইন, ওয়ান-আউট” চুক্তির অধীনে ফেরত পাঠানো সেপ্টেম্বরেই শুরু হবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেননি। বিপরীতে ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, এ মাসের মধ্যেই ফেরত পাঠানো শুরু হবে।
সরকার শরণার্থী পরিবার পুনর্মিলন রুট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে পড়াশোনা শেষে আশ্রয়ের আবেদন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও সরাসরি সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের কাছে ইমেইল ও টেক্সট পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই আরও কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে এ বার্তা পাঠানো হবে। এতে বলা হয়েছে, ভিসার মেয়াদ শেষ হলে অবশ্যই দেশ ছাড়তে হবে এবং অযৌক্তিক আশ্রয় আবেদন দ্রুত প্রত্যাখ্যান করা হবে।
সূত্রঃ ইয়াহু নিউজ
এম.কে
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫