TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে জাতীয় অভিযানের ঘোষণা, কঠোর নজরদারিতে হোম অফিস

হোম অফিস আশ্রয়প্রার্থীদের অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে “জাতীয় অভিযান” চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আশ্রয় হোটেলে থাকা ব্যক্তিদের খাবার ডেলিভারি কোম্পানিতে কাজ করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, অবৈধভাবে কাজ করা আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে “গুরুত্বপূর্ণ অভিযান” শুরু হবে, যার মাধ্যমে গিগ ইকোনমিতে কর্মরত ব্যক্তিদের বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হবে। বিশেষ করে যেসব রাইডাররা উবার ইটস, ডেলিভারু বা জাস্ট ইটের মতো প্ল্যাটফর্মে অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কাজ করছে, তারা নজরদারির আওতায় পড়বে।

হোম অফিস জানিয়েছে, এই অভিযান গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক হবে এবং পুরো যুক্তরাজ্যজুড়ে ইমিগ্রেশন টিম একযোগে অভিযান চালাবে। সরকার আশঙ্কা করছে, যেসব ব্যক্তি হোটেল বা সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, তারা নিয়ম ভেঙে অবৈধভাবে আয় করছে।

ক্রিস ফিলিপ নামের একজন ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি আশ্রয় হোটেলে গিয়ে সেখানে ডেলিভারি বাইকের সারি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যা ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে। এরপরই হোম অফিস এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।

ডেলিভারু, উবার ইটস ও জাস্ট ইট হঠাৎ ডাকা এক বৈঠকে হোম অফিস মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা তাদের রাইডারদের জন্য ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া জোরদার করবে।

হোম অফিস হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, কেউ অবৈধভাবে কাজ করতে ধরা পড়লে তার সরকারি আশ্রয় বা আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। অপরদিকে, যেসব কোম্পানি অবৈধ কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে, তাদেরকে প্রতি কর্মীর জন্য £৬০,০০০ পর্যন্ত জরিমানা, পরিচালকের অযোগ্যতা এবং কারাদণ্ড পর্যন্ত ভোগ করতে হতে পারে।

লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেফতার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে এখনো চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ছোট নৌকায় আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন বন্ধ হয়নি, বরং তা বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে আসা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে “একজন আসুক, একজন যাক” নীতির আওতায় একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কাজের সুযোগ থাকা একটি “আকর্ষণ তৈরি করে”, যেটা বন্ধ করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে মানবপাচার চক্র দমন ও চিহ্নিত পাচারকারীদের গ্রেফতারে বড় অগ্রগতি হয়েছে।

ক্রিস ফিলিপ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার ইচ্ছা করলেই অবৈধ কাজ বন্ধ করতে পারে, কিন্তু তার পরিবর্তে তারা আমাদের করের অর্থে পরিচালিত হোটেলে অবৈধ কাজের সুযোগ দিচ্ছে। অথচ নিরাপত্তার লোকজন শুধুই চিন্তিত আমি ভিডিও করলাম কি না।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
০৫ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি, পাউন্ডের বিপরীতে সর্বনিম্নে বাংলাদেশের মুদ্রা

নিউজ ডেস্ক

ইলোন মাস্কের পর এবার রাশিয়ান অলিগার্চদের উপর কিশোর হ্যাকারের নজরদারি

অনলাইন ডেস্ক

পশ্চিম লন্ডনের গৃহহীনদের জন্য উষ্ণ নৌকা