8.9 C
London
November 17, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নামে চলছে প্রতারণা

যুক্তরাজ্যে স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা ব্যবহার করে মানবপাচারের মতো ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষকর্মী আনার ভিসা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া পরিবারের সদস্য বা স্পাউস সাজিয়ে মানবপাচারের এমন ব্যবসা চলছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। তবে এ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার বা কোনও বাংলাদেশির সম্পৃক্ততা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলো নিয়োগকারী সংস্থা খুলে বিপুল অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাজ্যে ভিসা ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্রিটেনে আসায় প্রলুব্ধ করছে। পরে চুক্তিমতো বিমানবন্দরে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান সাজিয়ে তাদের একই পরিবারের সদস্য বলে যুক্তরাজ্যে বিমানবন্দরে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশনের কাছে দাবি করে থাকে। এমন প্রতারণা চলছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

 

 

 

 

দক্ষকর্মী বলে যাদের ব্রিটেনে আনা হচ্ছে, তাদের একটি বড় অংশই স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার জন্য অযোগ্য। একটি ভিডিও প্রতিবেদনে জানা গেছে, একজন নারী দাবি করেছেন তিনি কেয়ার ওয়ার্কার হিসেবে ব্রিটেনে কাজের জন্য দক্ষকর্মী ভিসা পেতে শ্রীলঙ্কায় ৬৫ হাজার পাউন্ড কথিত নিয়োগকারী চক্রের হাতে তুলে দেন।

অন্য একজন নারীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তিনি কাজের ভিসায় লন্ডনে আসার সময় তার স্বামী এবং সন্তানের পরিচয় দিয়ে আরও তিনজনকে নিয়ে এসেছিলেন।

পরে ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ওই ভুয়া পরিবারের সন্ধান পায়। তারা ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের স্টাফোর্ডশায়ারে বসবাসকারী ৪৮ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কার ধান চাষী রাথাকে খুঁজে পেয়েছে। রাথা দাবি করেছেন, তিনি এজেন্টকে পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড দেন তাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে। চুক্তিতে এজেন্ট তাকে একটি চাকুরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও তাতে উল্লেখ ছিল।

 

 

 

 

ব্রেক্সিটের পরবর্তী ব্যাপক কর্মী ঘাটতি মোকাবিলায় বাইরে থেকে দক্ষ কর্মী আনার পথ খুলে দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। দক্ষকর্মী ভিসার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সেক্টরে শ্রম ঘাটতি জরুরিভিত্তিতে পূরণ করার জন্য নির্দিষ্ট পর্যায়ের দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের আকৃষ্ট করা। আর এ ভিসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠে কিছু সংঘবদ্ধ চক্র। নিয়োগকারী দালালরা স্থায়ী বসবাসের পথ সহ দক্ষকর্মী ভিসার প্রতিশ্রুতি দেয়। একবার প্রলুব্ধ হয়ে গেলে, বিভিন্ন উপায়ে চাপ দিয়ে দফায় দফায় অর্থ হাতিয়ে নেয় এই এজেন্টরা।

এসব ঘটনা জানতে পেরে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা ঘটনাগুলো তদন্ত করছি। আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থার অপব্যবহার করে মিথ্যা নথি ব্যবহার, ব্যক্তিগত পরিস্থিতিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রতারণা করেছে, তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।

লন্ডনের একজন আইন বিশেষজ্ঞ এ প্রসঙ্গে বলেন, স্কিলড ওয়ার্কার, ওয়ার্ক পারমিট বা কেয়ার ভিসার নামে নিয়োগকারীর কোনও কর্মীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। কথিত যেসব নিয়োগকারী ভিসা বিক্রি করে তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবেই প্রতারণা। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার কোনও বিকল্প নেই।

এম.কে
০২ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

ইউরোপ প্রবেশে ব্রিটিশদের খরচ হবে ৭ ইউরো

অনলাইন ডেস্ক

রুয়ান্ডা বিল নিয়ে বিষোদগার করল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি

হিথ্রো বিমানবন্দরের বর্ডার ফোর্স কর্মীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার