সমুদ্রে উদ্ধারের পর অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের নতুন আইনি ক্ষমতার অধীনে আইনগতভাবে বিচার করা যেতে পারে বলে
যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত রায় দিয়েছে।
জাতীয়তা এবং সীমানা আইনের বিধান গত বছর কার্যকর হয়েছিল। জাতীয়তা এবং সীমানা আইনের অধীনে শীর্ষস্থানীয় বিচারকরা তিন সুদানী ব্যক্তির আপিলের শুনানি করেন।
এদিকে যুক্তরাজ্যে আসার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন বৈধ এন্ট্রি ক্লিয়ারেন্স ব্যতীত যুক্তরাজ্যে এসাইলাম প্রার্থীরা প্রবেশ করলে সেটা কোনো অবস্থায় অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে না। কারণ এসাইলাম প্রার্থীদের যুক্তরাজ্যের বাইরে থেকে এসাইলামের আবেদনের মাধ্যমে এন্ট্রি ক্লিয়ারেন্স নেয়ার কোন সুবিধা নেই। অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা বলেন, কিছুদিন পূর্বে দু’জনের বিরুদ্ধে চ্যানেল জুড়ে অভিবাসীদের ডিঙ্গি চালিয়ে বেআইনিভাবে অভিবাসনে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে মানবপাচার কাজে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা জরুরি।
আইনজীবীদের এইসব যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে বিচারপতি কাভানাঘ, বিচারপতি হোলগেট ও বিচারপতি জাস্টিস ব্রায়ানের সাথে বসে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, “নতুন আইনটি এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যার অভিবাসন নিয়মের অধীনে এন্ট্রি ক্লিয়ারেন্সের ছাড়পত্র প্রয়োজন এবং যিনি জেনেশুনে এই ধরনের ছাড়পত্র ছাড়াই যুক্তরাজ্যে আসেন।”
উল্লেখ্য যে ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হওয়া বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে আটকানোর জন্য গত বছর আইনটি চালু করা হয়েছিল হোম অফিসের পক্ষ হতে। হোম অফিসের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে এই বছর ইতিমধ্যে ২০০০ এরও বেশি অভিবাসী অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছে।
এম.কে
০৪ মার্চ ২০২৩