14 C
London
May 2, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

কনজারভেটিভ সরকারের বিতর্কিত রুয়ান্ডা নির্বাসন মামলায় পরাজয়

সরকারের বিতর্কিত রুয়ান্ডা নির্বাসন প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদালতে করা আপিল জয়ের দেখা পেয়েছে। জয়ের পরে প্রচারকারীরা বিজয় উদযাপন করেছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

তিন বিচারক একটি হাইকোর্টের রায়কে উল্টে দিয়েছেন, যেখানে রুয়ান্ডাকে পূর্বে একটি ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

রায়টিতে স্যার জেফ্রি ভোস বলেন, আশ্রয়প্রার্থীরা নির্যাতন বা অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে নিজেদের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। কিন্তু মানবাধিকার রুয়ান্ডাতে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে ভাবার কোনো অবকাশ নেই।

এই রায়টির পরে ঋষি সুনাক একটি বিবৃতি জারি করে জানান, রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে।

তিনি বলেন, ‘ আমি আদালতকে সম্মান করি তবে আমি তাদের সিদ্ধান্তের সাথে মূলত একমত নই। এই সরকারের নীতি খুব সহজ। এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে রুয়ান্ডাকে বেছে নিতে যা প্রয়োজন তা আমি করব।’

স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান দাবি করেন ‘রুয়ান্ডা বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ এবং আমাদের শরণার্থীদের জন্য অনুকরণীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

শরণার্থী দাতব্য কেয়ার ফোর ক্যালাইসের সিইও স্টিভ স্মিথ এমবিই, যিনি নীতিমালার বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী আইনী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিলেন, তিনি রায়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

রায় দেওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘আজকের রায় দেওয়ার পরে, সরকার তার নৃশংস রুয়ান্ডা নীতি হতে বের হয়ে আসুক। আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের যে দায়বদ্ধতা আছে তা আমাদের প্রমাণ রাখতে হবে।

অনেকের মতে, আজকের রায় যুক্তরাজ্যের অভিবাসী নীতিমালায় একটি অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।

শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনভার সলোমন বলেছেন, ‘ আমরা স্বস্তি পেয়েছি যে আপিল আদালত রায় দিয়েছে আশ্রয়প্রার্থীদের পক্ষে। রুয়ান্ডা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কখনও নিরাপদ দেশ হতে পারে না। তবে আমরা হতাশ হয়েছি যে আপিল আদালত সামগ্রিক নীতিটি বেআইনী বলে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘ রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে রুয়ান্ডায় প্রেরণ করার সরকারের পরিকল্পনা কেবল অমানবিক ও নিষ্ঠুর নয়, এটি বেআইনীও বটে।

‘আমরা বারবার রুয়ান্ডাকে এমন একটি দেশ হিসাবে দেখেছি যেখানে এলজিবিটিকিউ মানুষ বৈষম্য, সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হয়। রুয়ান্ডায় এলজিবিটিকিউ মানুষের পরিস্থিতি এতটাই দুর্বল যে রুয়ান্ডার এলজিবিটিকিউ কমিউনিটি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা চাওয়া লোকদের শাস্তি না দিয়ে কনজারভেটিভ সরকারের একটি যত্নশীল আশ্রয় ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত।

এম.কে
২৯ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

পূর্ব লন্ডনের হ্যাকনিতে বন্দুকধারীদের গুলিতে একজনের মৃত্যু

যুক্তরাজ্যে অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের ‘লাইন’ ১০ বছরে বেড়েছে ৯ গুন!

অনলাইন ডেস্ক

দুই দশক পর বন্ধ হচ্ছে অ্যামাজনের বুক ডিপোজিটরি