ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক তদন্তে দেখা গেছে, সরকারী কর্মকর্তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন যুক্তরাজ্যে বিবাহের লাইসেন্স ও বেনিফিট ক্লেইমের ক্ষেত্রে।
তদন্তে দেখা গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ভুলভ্রান্তি বা বৈষম্যমূলক ফলাফল তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস বিভাগ (ডিডাব্লুপি) দ্বারা ব্যবহৃত অ্যালগরিদম নিয়ে একজন সংসদ সদস্য বলেন, কয়েক ডজন লোকেদের ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারই তার অন্যতম কারণ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে দেখা যায় শেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের নির্দিষ্ট সেটিংসদের অধীনে দ্রুত অপরাধী বলে সনাক্তকরণে রায় দিয়ে দেয়।
হোমঅফিস শ্যাম বিবাহ স্ক্যাম ধরতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে, এই তদন্তে দেখা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা কিছু নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের সন্দেহ করে ফলাফল প্রদান করে।
যা ডেটা বৈষম্যের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এআই সরঞ্জাম অনেকক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক ফলাফলের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
ঋষি সুনাক সম্প্রতি এআই সেবা সম্পর্কে বলেন, ” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষকদের পাঠদানে যেমন সহযোগিতা করতে পারে ঠিক তেমনি এনএইচএস রোগীদের দ্রুত রোগ নির্ণয়ে প্রভাব রাখতে পারে।”
উল্লেখ্য যে, সরকারী খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে নেদারল্যান্ডস সরকারও সমালোচনার মুখে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাজ্যের সরকারকে এই ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।
এম.কে
২৩ অক্টোবর ২০২৩