যুক্তরাজ্যে ১৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি মূল্যের কোকেন আমদানির মূল পরিকল্পনাকারী একটি গ্যাং এর সদস্যদের মোট ১৬৭ বছরের জেল হয়েছে। ২১ সদস্যের এই গ্যাং দুবাই থেকে যুক্তরাজ্যে ১৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড কোকেন পাচার করেছিল। শক্তিশালী এই দলটি ছিল একটি ‘শিল্প স্কেলে’ অবৈধ ড্রাগস পাচারের একটি জটিল নেটওয়ার্ক।
ডেইলি মেইলের খবর থেকে জানা যায়, তাদের মসৃণভাবে চলমান অপারেশনটি ভেঙ্গে পড়ে যখন ইউরোপীয় পুলিশ এনক্রোচ্যাট ফোন সিস্টেমে প্রবেশ করে। এটি একটি এনকোডেড সিস্টেম যা অপরাধীরা ব্যবহার করে।
ইস্ট মিডল্যান্ডস স্পেশাল অপারেশনস ইউনিটের একটি তদন্তে জানা যায়, এই গ্যাংটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল ৪৫ বছর বয়সী পালদীপ মাহঙ্গার। ডার্বিতে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে কার্যক্রম চালাতো সে।
মাহঙ্গার দুবাইয়ের পরিচিতিদের কাছ থেকে অসংখ্য কিলোগ্রাম কোকেন অর্ডার করার জন্য এনক্রোচ্যাট সিস্টেমসহ একটি এনক্রিপ্ট করা ফোন ব্যবহার করতো। গ্যাংয়ের আরেক সদস্য যশবন্ত কাজলা তখন সারা দেশে মাদক বিতরণের কাজে নিয়োজিত।
কভেন্ট্রির কাজলা মাদক সরবরাহের উপকরণ সংগঠিত করতো এবং গ্যাংয়ের উপার্জন সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলো। সে নিশ্চিত করে, ক্রেতাদের কাছে তাদের অবৈধ ড্রাগস বিতরণে কুরিয়ার হিসেবে কাজ করতো সে।
গ্যাংয়ের হিসাবরক্ষক হিসেবে মানরাজ জোহল নামে একজনকে জানা যায়। এই গ্যাং মেম্বারদের বার্তাগুলো থেকে ২০২০ সালের এপ্রিলে ডার্বিতে ৭ কেজি কোকেনের প্যাকেজ আটকাতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ।
ব্রাজিলিয়ান গার্ল গ্যাং যারা ডেলিভারি স্টাইলের কুরিয়ার হিসেবে পোশাক পরে লন্ডনের চারপাশে পিংক রকস্যাকসে মাদক ফেরি করতো তাদের মোট ৪০ বছরের জেল হয়েছে।
ডিসিআই টিম ওয়াল্টার্স, যিনি তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেছেন: ‘একটি গ্যাংকে ধ্বংস করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত দক্ষ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তদন্ত দলের একটি বিশাল উদ্যোগ ছিল যেটি লক্ষ লক্ষ লোকের চলাচলের পাশাপাশি সারা দেশে কোকেনের পাইকারি সরবরাহের জন্য দায়ী ছিল।’
১০ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ