যুক্তরাজ্যের জন লুইস হেড অফিসের কর্মীদের জন্য ঘরে বসে কাজের সুযোগ সীমিত করে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিসে অথবা বাইরে কাজ করার নতুন নীতির ঘোষণা দিয়েছে। জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, কমার্শিয়াল টিমের সদস্যরা – যারা কেনাকাটা ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগে কাজ করেন – এখন থেকে সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, যা আগে তিন দিন ছিল।
এই সিদ্ধান্তটি এসেছে এমন সময়ে, যখন অন্যান্য বড় প্রতিষ্ঠান যেমন অ্যামাজন, বুটস ও জেপি মর্গান তাদের কর্মীদের পুরোপুরি অফিসে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। HSBC সম্প্রতি তাদের ব্যাংক কর্মীদের অন্তত ৬০% সময় অফিসে কাজ না করলে বোনাস কেটে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।
জন লুইস জানিয়েছে, নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণ, দলগত সহযোগিতা এবং ব্যবসার মুনাফা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ৫০ জন নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।
তবে অনেক কর্মী এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ট্রেড জার্নাল রিটেইল উইক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিমলিকোতে অবস্থিত জন লুইসের নতুন হেড অফিসে প্রয়োজনীয় বসার জায়গা না থাকায় অনেকেই উদ্বিগ্ন।
প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে একটি কঠিন পুনর্গঠন পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাবেক চেয়ার শ্যারন হোয়াইটের শুরু করা এই প্রক্রিয়া এখন চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেসন ট্যারি। এই প্রক্রিয়ার আওতায় বন্ধ করা হয়েছে প্রায় ১৬টি ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং ২০টি ওয়েটরোজ শাখা।
২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে গ্রুপটির বিক্রি ৩% বেড়ে দাঁড়িয়েছে £১২.৮ বিলিয়নে। একই সময়ে মুনাফা বেড়ে হয়েছে £১২৬ মিলিয়ন, যা আগের বছরের £৪২ মিলিয়ন ছিল।
জন লুইসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নমনীয় কর্মপদ্ধতি এখনো তাদের নীতির অংশ, তবে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কর্মীদের মধ্যে সরাসরি সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই তারা কর্মীদের অফিস, দোকান ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে সরাসরি মেলামেশা করার জন্য উৎসাহিত করছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৮ জুন ২০২৫