গ্রান্ড ন্যাশনাল নামে একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রাণী অধিকারকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, এ ধরনের অনুষ্ঠান ঘোড়ার ওপর একধরনের নির্যাতনের শামিল, তাই এসব বন্ধ করতে হবে। রেস শুরু হওয়ার ঠিক আগে এ নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন তারা। এতে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে যায় ১৫ মিনিট। এ ঘটনার জেরে অন্তত ১১৮ জন প্রাণী অধিকারকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
ওই রেসে প্রায় ৭০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল। প্রাণী অধিকারকর্মীরা মই দিয়ে ব্যারিকেড টপকে রেসের ময়দানে ঢুকে পড়েন। তারা চেয়েছে প্রাণীদের কষ্ট দেয়, এমন সবধরনের তৎপরতার অবসান ঘটাতে। তবে শেষপর্যন্ত পুলিশ তাদের আটক করেছে জনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে।
প্রসঙ্গত, এ ধরনের অনুষ্ঠানের পর অনেক ঘোড়াই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলছে, গত তিনদিনের অনুষ্ঠানের পর সবমিলে তিনটি ঘোড়া মারা পড়েছে। অবশ্য অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দাবি, গ্র্যান্ড ন্যাশনালের অনুষ্ঠানে সবসময়ই পশু চিকিৎসকদের রাখা হয়। কিন্তু ঘটনাক্রমে সবশেষ মারা যাওয়া ঘোড়াটি মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল।
পুলিশ বলছে, বিক্ষোভকারীরা মই দিয়ে রেসের ট্র্যাকে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তাদের আটকে দেয়া হয়েছে। তবে তার পরও কয়েকজন ভেতরে ঢুকে পড়ে। আর প্রাণী অধিকারকর্মীরা বলছেন, প্রাণীদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে এটা একটা প্রত্যক্ষ পদক্ষেপ।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, আমরা পশুপ্রেমী জাতি। আমাদের প্রাণীদের প্রতি সহমর্মী হতে হবে। আমরা মনে করি, পশুদের জীবন নিয়ে জুয়া খেলার অধিকার কারো নেই।