ভবিষ্যতে পরীক্ষার দৃশ্যের ব্যাপক পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা রয়েছে, ইংল্যান্ডের বৃহত্তম পরীক্ষা বোর্ড ঘোষণা দিয়েছে জিসিএসই পরীক্ষা ল্যাপটপে নেয়া শুরু হবে খুব শীঘ্রই। যার মধ্যে কিছু কোর্সের পরীক্ষা আগামী বছর হতেই ল্যাপটপে শুরু করবে তারা।
জিসিএসই ইতালিয়ান এবং পোলিশ কোর্সের পরীক্ষা ২০২৬ সালের মধ্যে ল্যাপটপে নেয়া শুরু করবে। একিউএ মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, অন্যান্য বিষয়গুলি ও ইংরেজি ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজিটালি নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ” ডিজিটাল পরীক্ষা নেওয়া ট্যাকনলজির বিবর্তনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবেই আসবে। ”
একিউএ জানায়, ” শিক্ষার্থীদের” ডিভাইসগুলি পরীক্ষার হলে অফলাইনে থাকবে; তারা ইন্টারনেটে তথ্য অনুসন্ধান করতে সক্ষম হবে না বা তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামগুলি অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবে না। ”
প্রধান শিক্ষকরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এটি অত্যন্ত উৎসাহজনক যে মান্ধাতার আমলের কাগজ,কলমের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু মাধ্যমে হিসেবে খোঁজা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার জন্য এবং তাতে ট্যাকনলজির ছোঁয়া থাকবে।
ন্যাশনাল হ্যান্ড রাইটিং অ্যাসোসিয়েশনও সভাপতি মেলিসা প্রান্টি বলেছেন, ল্যাপটপ ব্যবহার করে পরীক্ষা হতে পারে একটি যুগান্তকারী চিন্তা তবে এতে হাতের লেখার ব্যবহার হ্রাস পাবে। শিক্ষার্থীদের হাতে লিখা, সঠিকভাবে শিখা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার ধারা পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীদের আগের তুলনায় কম হস্তাক্ষর ব্যবহার করতে হবে যা নতুন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রাক্তন ইংরেজী শিক্ষক ক্রিস্টোডলৌ বলেছেন, হাতে লিখিত এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে ল্যাপটপ ব্যবহার উভয়েরই পজেটিভ ও নেগেটিভ সাইড রয়েছে। হাত দিয়ে লিখলে এনকোডিংয়ের গভীর স্তরে পৌঁছা সম্ভব। আপনি হাত দিয়ে লিখুন বা টাইপ করুন না কেন, আপনাকে দ্রুত হতে হবে যারজন্য আপনাকে অনুশীলন করতে হবে। হাতে লেখা এমন কোনো পদ্ধতি নয় যে আপনি চাইলেই বাতিল করে দিতে পারেন।
একিউএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কলিন হিউজেস জানান, হাতের লেখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার ধরনের পরিবর্তন আনা হলেও কাগজ,কলম ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়।
এম.কে
২০ অক্টোবর ২০২৩