গত বছর যুক্তরাজ্যে শরৎকাল এসেছিল প্রায় বিবর্ণ চেহারা নিয়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে ওই বছরের আবহাওয়াকে বলা হয়েছে ‘ভুল আবহাওয়া’। কেননা যুক্তরাজ্যে এ ধরনের শরৎ কেউই প্রত্যাশা করে না। তবে এবার দেশটির বনাঞ্চলগুলো ফিরে পেতে পারে চিরাচরিত রঙিন শরৎ। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এবার শরতে বনাঞ্চল ও পার্কের গাছপালা সেজে উঠবে প্রকৃতির রঙিন সাজে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ট্রাস্ট শুক্রবার বলেছে, এবার শরতে গাছগুলো চকচকে হয়ে উঠবে। লোকজন এবার দেখবে লাল, অ্যাম্বার, হলদে ও বাদামি রঙের বাহারি প্রদর্শনী।
গত গ্রীষ্মে যুক্তরাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে খরায় গাছের পাতা ও কুড়ি নষ্ট হয়নি। এ কারণেই এবার একটি ঝলমলে শরতের আশা করছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা।
ন্যাশনাল ট্রাস্টের কর্মকর্তা অ্যান্ডি জ্যাসপার গ্রীষ্মের বৃষ্টিপাত দেখেই বলেছেন, এবার সৌন্দর্যের চাদরে মুড়ে উঠবে যুক্তরাজ্য। কারণ বৃষ্টি গাছগুলোকে প্রচুর পানির যোগান দিচ্ছে। এবার রঙিন শরৎ শুরু হবে স্কটল্যান্ড থেকেই— কেননা দেশের এ অংশেই সবার আগে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব দেখা যায়। আর এরপর শরতের রঙ নেমে আসবে ইংল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিমে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বাকি অংশে।
এ বছর দেশটিতে সবচেয়ে সুন্দর শরৎ নেমে আসবে যেসব বাগানে তার মধ্যে একটি কর্নওয়ালের গ্লেন্ডুরগান উদ্যান। এটি ন্যাশনাল ট্রাস্টের অধীনে থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এটি এটি এবার দেখার মতো হয়ে উঠবে। গ্লেন্ডুরগানের প্রধান গার্ডেনার জন ল্যানিয়ন বলেছেন, গত বছর গ্রীষ্ম ছিল কাঠফাটা। ফলে সেবার গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়েছিল। আর তার তুলনায় এবারের গ্রীষ্মে বেশ ভালো রকমের বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই এবার গাছে গাছে দেখা গিয়েছে ঝলমলে পাতার বাহার— এবার একটি সুন্দর শরৎ আশা করাই যায়।
ল্যানিয়ন বলছেন, সোয়াম্প সাইপ্রেস গাছগুলোর পাতা প্রথমে সুন্দর তামাটে বর্ণ ধারণ করবে। আর এরপর ঠিক ঝরে পড়ার আগে এগুলো পুরোপুরি বাদামি হয়ে যাবে। ওই সময় পুরো উদ্যান দেখার মতো সুন্দর লাগবে— আর ওক গাছগুলো হয়ে উঠবে আগুনরঙা।
দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বৃক্ষ ও বনভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা টম হিল আশা করছেন, এবার খুব শীঘ্রই একটি‘ ‘স্বাভাবিক শরৎ’ আসবে ইংল্যান্ডে। কেননা এসব এলাকায় যে গাছগুলো রয়েছে, তারা এবার উপযুক্ত আবহাওয়া পেয়েছে।
এম.কে
০৮ অক্টোবর ২০২৩