যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মারিয়া কউলফিল্ড রিফর্ম দলে যোগ দিয়েছেন। এতে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির ভাঙন আরও গভীর হলো এবং দলীয় নেতা কেমি বাদেনোক নতুন করে চাপের মুখে পড়লেন। কউলফিল্ড হচ্ছেন রিফর্মে যোগ দেওয়া ১৩তম সাবেক টোরি সদস্য।
এর মাত্র একদিন আগেই বর্তমান কনজারভেটিভ এমপি ও শ্যাডো মন্ত্রী ড্যানি ক্রুগার রিফর্মে যোগ দেন। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক টোরি নেতার দলত্যাগে কনজারভেটিভদের জন্য বড় সংকট তৈরি হয়েছে। জরিপে ইতিমধ্যেই রিফর্ম দল লেবারের চেয়েও এগিয়ে আছে।
জিবি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কউলফিল্ড বলেন, “আপনি যদি ডানপন্থী কনজারভেটিভ হয়ে থাকেন, তবে ভবিষ্যৎ হচ্ছে রিফর্ম। যারা ভেবেছিল ব্রেক্সিট সম্ভব নয়, তারাই আজ বলছে রিফর্ম হবে না। কিন্তু এবারও তারা বড় ধাক্কা খাবে।” তিনি আরও জানান, তার স্বামী কয়েক মাস আগে এই দলে যোগ দেন, আর তিনি যোগ দেন এক মাস আগে।
এই যোগদানের ধারাবাহিকতায় রিফর্মে আগে থেকেই রয়েছেন নাদিন ডরিস, আন্দ্রিয়া জেঙ্কিনস, মারকো লঙ্গি ও সাবেক টোরি চেয়ারম্যান স্যার জেক বেরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতগুলো প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের দলত্যাগ টোরিদের জন্য এক বড় ধাক্কা।
সোমবার ড্যানি ক্রুগার বলেন, ব্রিটেনে অর্থনীতি, সীমান্ত, রাস্তাঘাট ও সেনাবাহিনীতে গভীর সংকট চলছে। তার মতে, দেশ ভেঙে পড়েনি, তবে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন পরিবর্তন অনিবার্য। বিদায়ের সময় তিনি অন্য টোরি এমপিদেরও রিফর্মে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাদেনোক বলেছেন, তার দল এ ধরনের ঘটনায় পথচ্যুত হবে না। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দলের ভেতরে ক্রমবর্ধমান ভাঙন তার নেতৃত্বকে কঠিন পরীক্ষার সামনে দাঁড় করাচ্ছে।
শ্যাডো চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড অবশ্য কউলফিল্ড ও ক্রুগারের বিশ্লেষণকে “ভুল” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এখনো নির্বাচনের চার বছর বাকি এবং এই সময়ে কনজারভেটিভরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে সক্ষম হবে। তার মতে, কঠোরভাবে সরকারকে জবাবদিহিতার মুখে ফেলাই হচ্ছে আস্থা ফেরানোর পথ।
তবে মারিয়া কউলফিল্ড অভিযোগ করেছেন, হাউস অব কমন্সে ভ্যাকসিন ইস্যুতে যখনই আলোচনা হয়, তখনই তার জীবনের প্রতি হুমকি বেড়ে যায়। ফলে রাজনৈতিক চাপের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও তিনি হুমকির মুখে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫