সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারদের আয় বা গিফট কর রিটার্নে ঘোষণা না করলে বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। ব্রিটিশ ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ HMRC জানিয়েছে, বছরে £1,000-এর বেশি আয় হলে—তা নগদ হোক বা ব্র্যান্ডের কাছ থেকে পাওয়া পণ্যের বাজারমূল্য—সবকিছু কর রিটার্নে দেখাতে হবে। এই নিয়ম মূলত ১,০০০ থেকে ২৫,০০০ ফলোয়ার থাকা “মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সারদের” ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দাখিল না করলে শুরুতেই £100 জরিমানা দিতে হবে। তিন মাস পার হলে প্রতিদিন £10 করে বাড়তে থাকবে জরিমানা, যা সর্বোচ্চ £900 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ছয় মাস পর বকেয়া টাকার ৫ শতাংশ বা £300 চার্জ করা হবে, আর এক বছর পর একই হারে আবার জরিমানা ধার্য হবে।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্র্যান্ড থেকে প্রাপ্ত জামাকাপড়, কসমেটিকস, ভ্রমণ, হোটেল বা খাবারও করযোগ্য আয়ের অন্তর্ভুক্ত। তবে £50-এর নিচের ছোট উপহার, যা প্রচারের বিনিময়ে নয়, সেগুলো করের আওতায় পড়বে না। শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, বরং ভিন্টেডের মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন থেকে £1,000-এর বেশি আয় হলে একই নিয়ম কার্যকর হবে।
এছাড়া সরকারের Making Tax Digital স্কিমের আওতায় নতুন করে আরও কঠোর নিয়ম আসছে। ২০২৬ সালের ৬ এপ্রিল থেকে বছরে কমপক্ষে £50,000 আয় থাকা স্ব-নিয়োজিত ব্যক্তি বা ভাড়ার আয়কারীদের ডিজিটাল রেকর্ড রাখতে হবে এবং প্রতি তিন মাসে একবার করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এতে সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক খরচ মিলিয়ে বছরে প্রায় £500 পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সরকার বলছে, এসব পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ট্যাক্স ফাঁকি রোধ করা। শুধুমাত্র ২০২১-২২ অর্থবছরেই ট্যাক্স ফাঁকির কারণে ব্রিটেন প্রায় £12.4 বিলিয়ন ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫